‘অ্যান্টিগা ও গায়ানা বিপর্যয়’, এতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ছয় মাস আগের স্মৃতি। প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসানের দল গুটিয়ে গিয়েছিল ৪৩ রানের লজ্জায়। দুই ম্যাচের কোনো ইনিংসেই দেড়শ’ ছাড়াতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ক্যারিবীয় পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও কেমার রোচরা ছিলেন ভয়ঙ্কর। তাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত হোয়াইটওয়াশ হয়ে শেষ হয়েছিল টেস্ট সিরিজ। এই ক্ষত বয়ে বাড়াচ্ছিল সাকিবের দল। কিন্তু দেশের মাটিতে তার ষোলোআনা যেন ফিরিয়ে দিতে চায় টাইগাররা।বল হাতে চলছে সাকিব, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসানদের ঘূর্ণি নৃত্য। প্রথম টেস্টে চট্টগ্রামে জয় এসেছে ৬৪ রানে। আর দ্বিতীয় টেস্টে তো দ্বিতীয় দিনই জয় উঁকিঝুঁকি মারছে চোখের সামনে। ব্যাট হাতে ৫০৮ রানের পর বল হাতে ক্যারিবীয়দের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছে ৭৫ রানের মধ্যেই। এমন লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা কী? মাহমুদুল্লাহ জানালেন আগে থেকেই অধিনায়ক সাকিব বলেছিলেন সেই যন্ত্রণার কথা মনে রাখতে। গতকাল দিন শেষে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘যখন টেস্ট সিরিজটা শুরু হয়, তখন সাকিব একটা কথা বলেছিল। আমার মনে হয় এটা আমাদের মনে রাখা উচিত, ওখানে আমরা কীভাবে হেরেছিলাম। ওই হার দুটো মনে রাখলে, এখানে আমরা মোটিভেট হতে পারবো। এই জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মনে হয় সাকিবের এই বক্তব্য সবাইকে মোটিভেট করেছে। হারটা যদি আপনি সহজেই ভুলে যান তো আপনি শিখতে পারবেন না। সাকিবের এই কথাটা ভালো একটা মেসেজ ছিল। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় এই কথাগুলো দলকে মোটিভেট করেছে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফলোঅন এড়াতে আরো করতে হবে ২৩৪ রান। হাতে আছে পাঁচ উইকেট। বোলিংয়ে টাইগাররা বলতে গেলে সফল। হোয়াইটওয়াশ মিশনে অনেকটাই এগিয়ে টাইগাররা। বিশেষ করে দিন শেষে পাঁচ উইকেট নেয়ার পর সেটিই স্পষ্ট। এ নিয়ে মাহমুদুল্লাহ এত সহজ ভাবছেন না। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না সহজ হবে। আমাদের ভালো জায়গায় বোলিং করাটা গুরুত্বপূর্ণ, চেষ্টা করতে হবে প্রতিটি বলেই উইকেট নেয়ার! আজকেও সাকিব আমাদের এই জিনিসটাই বলেছিল। আমার মনে হয় বল আজকে কিছুটা উঠা নামা করছে। এই জিনিসগুলো তখনই কাজে লাগবে, যখন রাইট এরিয়াতে রাইট প্ল্যানে আপনি বোলিং করবেন।’
অন্যদিকে এই মাঠেই এক মাস আগে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাহমুদুল্লাহ। সেই সঙ্গে গতকালের সেঞ্চুরির তুলনা করে বলেন, ‘যেটা বললাম ইতিবাচক ব্যাটিং করতে হবে। এতো কিছু আমি চিন্তা করছিলাম না। আমি রান করতে চাচ্ছিলাম। আমার জন্য ওটাই বেস্ট অপশন ছিল। আমার এভাবেই ব্যাটিং করা উচিত। তারপরও আজকে বেশ কয়েকবার আমি লাকিও ছিলাম। বেশ কয়েকটা সিদ্ধান্ত আমার পক্ষেও গিয়েছে। ওই জিনিসগুলোয় কিছুটা লাকি ছিলাম। তারপরও মনে হয় উন্নতির অনেক জায়গা আছে। কষ্ট করতে হবে আরো।’