টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সিংহেরচালা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ৮ বছরের ছেলে সাগর। সে উপজেলার সিংহেরচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। প্রতিদিনের মতো আজও সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যায়। স্কুল শেষে বাড়ি ফিরবে। মা লাভলী ছেলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

ছেলে বাড়িতে ফিরলো ঠিকই, তবে জীবিত নয়, লাশ হয়ে। দুই সিএনজি’র পাল্লাপাল্লির কারণে স্কুল থেকে সামান্য দূরে একটি নিচে চাপা পড়ে প্রাণ যায় তার।

সিংহেরচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবু সাইদ ও পুলিশ জানান, স্কুল ছুটি হলে সহপাঠীদর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলো সে।

এ সময় দু’টি সিএনজি পাল্লা দিয়ে গারোবাজার যাচ্ছিলো। একই সময় সামনের দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোবাইককে সাইড দিতে গিয়ে একটি সিএনজি সড়কের পাশে কলাগাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া স্কুলছাত্র সাগরের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঘাটাইল-গারোবাজার সড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একাব্বর হোসেন ও পুলিশ সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়।

সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্রের এসআই ফজলুল হক জানান, দুই সিএনজি চালক পাল্লা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই স্কুলছাত্র সাগরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সিএনজিচালক আলম মিয়া (২৫) আহত হন। তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অপর চালক সিএনজিসহ পালিয়ে গেছে।