প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমত বিপর্যয়ের মুখে বিসিবি একাদশ। দলীয় ৯ রানেই দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদার আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ক্রিজে রয়েছেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান।
পাকিস্তানের দুই পেস বোলার জুনায়েদ খানের বলে রনি (০) ও রাহাত আলীর বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তামিম (৯)।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিসিবি একাদশের সংগ্রহ সাত ওভার শেষে দুই উইকেটে ১৬ রান। লিটন ১ ও সাব্বির ৬ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে ফতুল্লায় একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশকে ২৬৯ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ হাফিজের ৮৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২৬৮ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা।
আজ (বুধবার) টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক আজহার আলী। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায়।
ভালো সূচনা করে বড় সংগ্রহের আভাস দিচ্ছিলো পাকিস্তান দলের দুই ওপেনার হাফিজ ও আজহার আলী। ওপেনিং জুটিতে ৬৬ রান যোগ করার পর মুক্তার আলীর বলে ২৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আজহার আলী।
তবে হারিস সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে বড় সংগ্রহে চোখ রাখেন হাফিজ। দলীয় ১৩০ রানে শুভাগত হোম হারিস সোহেলকে (২৩) ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন। দলীয় ১৮৫ রানে ব্যক্তিগত ৮৫ রান করে হাফিজ শুভাগত হোমের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
এর পরই ভেঙ্গে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ।। ১৮৫ থেকে ২০৩ রানে পৌঁছাতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।
ফাওয়াদ আলমের অপরাজিত ৬৭ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৬৮ রানের লড়াকু স্কোর গড়ে পাকিস্তান দল। দশম উইকেট জুটিতে ফাওয়াদ আলম ও সাঈদ আজমল যোগ করেন ৪০ রান। আজমল ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
বিসিবি একাদশের হয়ে শুভাগত হোম তিনটি উইকেট দখল করেন। এছাড়াও মোহাম্মদ শহীদ, মুক্তার আলী, জুবায়ের হোসেন ও সোহাগ গাজী একটি করে উইকেট লাভ করেন।
উল্লেখ্য, বিসিবি একাদশে নাসির হোসেনের জায়গায় তামিম ইকবালকে নেওয়া হয়েছে। অধিনায়কত্ব করেছেন মুমিনুল হক। নাসিরের না খেলা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ‘নাসিরের ব্যাক আপ দলে আছে বলে তাকে খেলানো হয়নি। নাসিরের বদলে তামিমকে সুযোগ দেয়া হয়েছে।’
বিসিবি একাদশে এই ম্যাচে রয়েছেন জাতীয় দলের পাঁচ ক্রিকেটার। এরা হলেন রনি তালকুদার, মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান ও আবুল হাসান রাজু।