বরগুনায় এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি : ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ না দেওয়ায় বরগুনায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বরগুনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইবাদ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মোঃ শহিদুল হক ওই সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানাগেছে , বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়নের সড়ক প্রশস্থ করণ ও শক্তিশালী করণ শীর্ষক কাজের টেন্ডার হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইবাদ কনস্ট্রাকশনের লাইসেন্সে টেন্ডারে অংশ নেওয়ার মতো পয়েন্ট না থাকায় এ প্রতিষ্ঠানের মালিক ঠিকাদার মোঃ শহিদুল হককে রাজশাহীর মেসার্স বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে এলজিইডির ৩ টি কাজের টেন্ডারের পরামর্শ দেন মামলার আসামি এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান। টেন্ডারের তিনটি কাজ পাইয়ে দিতে,কাজের অনুমোদন ও ওয়ার্ক অর্ডার এবং বিভিন্ন খরচের কথা বলে ২৫ লাখ টাকা দাবি করে ওই প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান। কাজ পাওয়ার আশায় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানকে এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ২৫ লাখ টাকা দেন ওই ভূক্তভোগী ঠিকাদার শহিদুল হক। মৌখিক চুক্তিমতে সর্বনিন্ম দরদাতা হিসেবে ৩ টি কাজেরই টেন্ডার পায় রাজশাহীর মেসার্স বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান । তবে মামলার বাদীর দাবি মেসার্স বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের ৩টি কাজ তাকে না দিয়ে প্রতারণা করে মামলার আসামি এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বেশি টাকা নিয়ে তৃতীয় পক্ষকে কাজ দিয়ে দেয়। ঠিকাদার শহিদুল হক তার দেয়া ২৫ লাখ টাকা ফেরত চাইলে মামলার আসামি এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান টাকা দিতে অস্বীকার করেন ।এর পূর্বে বরগুনার ওই প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ভূক্তভোগী ঠিকাদার শহিদুল হক ।
ইতিপূর্বে মামলার বাদী ঠিকাদার মোঃ শহিদুল হক মেসার্স বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে কাজ করেছেন এবং বর্তমানেও কাজ চলমান আছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন।
বাদীর আইনজীবী বিমান কান্তিগুহ জানান , বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনার স ও জ নির্বাহী প্রকৌশলী এম আতিক উল্লাহ কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির)। এর পূর্বে আমতলীতে ভৌতিক প্রকল্প গ্রহণ,হিসাব রক্ষক হুমায়ুন কবিরসহ কর্মকর্তাদের ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল, বরগুনা সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও ঠিকাদারের মধ্যে ঘুষ নিয়ে মারামারির ভিডিও ভাইরাল ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *