বর্তমানে বাংলাদেশের উৎসবের রশদ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। শুধু দর্শক বলা ভুল হবে আসলে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাথে সম্পৃক্ত সবারই নজর এই বিপিএলে। সামনেই এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সাথে সাথে নতুনদের নিয়েও চিন্তা করার এটাই সুবর্ণ সময়।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহেও পরখ করে নিচ্ছেন তার শিষ্যদের। আর সে পরীক্ষাতেই আটকে গেলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে খেলা ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস ও শুভাগত হোমস।
তিনজনেই দ্রুত রান তুলতে গিয়ে চাপে পড়ে আউট হয়েছেন। কায়েস-লিটন-শুভাগতর এই তাড়াহুড়াই হাতুরুর চোখে পড়েছে বেশি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সাথে না থাকলেও নিজের শিষ্যদের এমন অবস্থা বেশ ভাবিয়েছে তাকে।
কুমিল্লার ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ফোন করে ওই তিন ক্রিকেটারের সাথে আলাদা করে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার এ প্রস্তাবে ভিক্টোরিয়ানসের অধিনায়ক মাশরাফি ও কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন খুশি হয়েই অনুমতি দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এসব ব্যাপারে আমি কখনোই আপত্তি করি না। এই ক্রিকেটাররা বছরের প্রায় পুরোটা সময় সময় কাটান জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে। কোচ ওদের খুব ভালো চেনেন, জানেন। কাজেই কোচের পরামর্শ শুনলে ওদের উপকারই হবে।’
ওই তিন ব্যাটসম্যানের একজন ইমরুল বলেন, ‘আমরা তিনজনই তাড়াহুড়ো করেছি, এই ব্যাপারটা চোখে পড়েছে কোচের। টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং মানেই সব বলে মারার প্রয়োজন নেই। আমাকে কোচ বলেছেন, তাড়াহুড়ো না করে সময় কাটাতে। আমার হাতে যেসব শট আছে,সেগুলোই খেলতে।’