প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৪৩১ রান সামনে নিয়ে শম্ভুক গতিতে জবাব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ডানেডিনে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৯৭ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে। স্বাগতিকদের চেয়ে তারা ২৩৪ রানে পিছিয়ে। গতকাল শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা ওভারপ্রতি ২.৪৩ করে রান তোলে। অথচ আগের দিন নিউজিল্যান্ড রান তোলে ওভারপ্রতি ৪.৪৮ করে। ৮ উইকেটে ৪০৯ রান নিয়ে গতকাল দ্বিতীয় দিন ব্যাটে নামে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এদিন আর ২২ রান যোগ করে অলআউট হয় তারা। আগের দিন ২৩ রানে অপরাজিত ডগ ব্র্যাসওয়েল ৪৭ রান করেন। জবাবে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৯ রানে কুশল মেন্ডিসকে হারানোর পর ২৯ রানে হারায় উদারা জয়াসুন্দেরাকে। এতে এ বছর শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ফের ব্যর্থ হলো। ২০১৫ সালে তাদের উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র একবার ৫০ রানের জুটি এসেছে। তবে তাদের চেয়ে করুণ অবস্থা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এ বছর উদ্বোধনী জুটিতে তারা এখনও ৫০ রান পায়নি। ১৯৯৫ সালের পর উদ্বোধনী জুটিতে শ্রীলঙ্কার বড় লজ্জা এটি। সে বছর লঙ্কানদের উদ্বোধনী জুটিতে একটিও ফিফটি ছিল না। তবে গতকাল তৃতীয় উইকেটে সফরকারীদের লড়াইয়ে ফেরান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দিমুথ করুণারত্নে ও দিনেশ চন্ডিমাল। এই জুটিতে তারা ১২২ রান যোগ করেন। করুণারত্নেকে ৮৪ রানে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংয়ের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মিচেল স্যান্টনার। এদিন শ্রীলঙ্কার চার ব্যাটসম্যানই ফেরেন উইকেটরক্ষক ওয়াটলিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে। কিউই এ উইকেটরক্ষক টেস্ট ক্যারিয়ারের শততম ক্যাচ ধরেন এদিন। দলীয় ১৫১ রানে করুণারত্নে ফেরার ৫ রান বাদে ফেরেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তবে দিনের বাকি ১৬ ওভার চন্ডিমাল ও কিথুরুয়ানা ভিতানাগে নিরাপদে পার করে দেন। ভিতানাগে ১০ ও চন্ডিমাল ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। চলতি বছর এশিয়ার কোনো খেলোয়াড় হিসেবে সর্বাধিক রান এখন চন্ডিমালের। ১০ টেস্টে তার রান ৭৯২। ৭৮৯ রান নিয়ে তার পরে আছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান ইউনুস খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৪৩১
শ্রীলঙ্কা: ১৯৭/৪, করুণারত্নে ৮৪, চন্ডিমাল ৮৩*, ভিতানাগে ১০*, বোল্ট ১/৩৮, সাউদি ১/৩৫, ওয়াগনার ১/৫৩, স্যান্টনার ১/৩৭)
অবস্থা: শ্রীলঙ্কা ২৩৪ রানে পিছিয়ে।