মামুনুর রশীদ রাজ, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুপার পাওয়ার কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩০ জনকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রাথমিক কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সামাজিক দায়বদ্ধ প্রকল্পের অধীনে রামপালের ৩০জন যুবক-যুবতীকে বুধবার দুপুরে প্রকল্প এলাকায় ফিতা কেটে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ-ভারত দুই বিদ্যুৎ সচিব।
এ সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভারতীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ কুমার পূজারী বলেন, ‘সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ভেতরই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে প্রথম পর্যায়ে ১৩শ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হরা হবে। অত্যধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই প্রকল্পের কাজ করা হবে এবং এ প্রকল্পে সুন্দরবনসহ পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না।
বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ তিন পয়সা হারে আলাদা তহবিল করে বছরে ৩০কোটি টাকা স্থানীয় উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশানর হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, বিআইএফপিসিরএল’র ব্যবন্থাপনা পরিচালক উজ্বল কান্তি ভট্টাচার্যসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। এর আগে সুন্দরবনের পরিবেশরক্ষায় পাশের এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রামপালে মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।
১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইএল)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ওই কোম্পানির সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিউরমেন্ট কনস্ট্রাকশন-ইপিসি (টার্নকি) চুক্তি করে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)।
বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য এবং বিএইচইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রেম পাল যাদব চু্ক্তিতে সই করেন। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার এই কেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় ১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক।
২০১৯-২০ অর্থবছরে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয় চুক্তি সই অনুষ্ঠানে।