র্যাবের দেওয়া তালিকার দুইজনের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের একজন রাজশাহীতে হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আর একজন রাজধানীতে তার কর্মস্থলে রয়েছেন।
রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জে জঙ্গি হামলার পর নিখোঁজ তরুণদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ হয়। এরপর সারাদেশে আড়াই শতাধিক ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে র্যাব। ওই তালিকার মধ্যে একজন কারাগারে এবং আরেকজন তার কর্মস্থলে রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার র্যাবের দেওয়া ২১৫ নম্বর তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. রহমতুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন বলে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাগণ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আর ১ নম্বর তালিকায় থাকা বগুড়ার ধুনট উপজেলার সাইদুল ইসলাম রাজধানী ঢাকায় তার কর্মস্থলে রয়েছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রহমতুল্লাহ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজলোর মাগুরা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। গত এপ্রিলে রাবির শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের মামলায় রহমতল্লাকে গত ১৭ মে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
অপরদিকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাধবডাঙ্গার মৃত হায়দার আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম সংবাদিকদের জানান, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে গত ১৪ জুন তার স্ত্রী হোসনে আরা রাজধানীর বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। তবে তার দুদিন পরেই সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দেয়। খবর পেয়ে বনানী থানায় গিয়ে আজ সাধারণ ডায়েরি প্রত্যাহার করে নেই। আমি এখনও আমার কর্মস্থল পল্টনের ব্যাংক এশিয়ায় পিয়ন হিসেবে কর্মরত বলে জানান তিনি।
আর ধুনট থানার ওসি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, র্যাবের নিখোঁজের তালিকায় থাকা সাইদুলের অবস্থান তারা জানতে পেরেছেন তিনি।