বছর না ঘুরতেই আবারো বাড়ছে- প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য। সঞ্চালন ও বিতরণ জনিত খরচ বেড়ে যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে, এরই মধ্যে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে। আগামী ৭ই আগস্ট থেকে শুরু হওয়া গণশুনানির পর নির্ধারিত হবে গ্যাসের নতুন মূল্যহার।
তবে, বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, এখন গ্যাসের মূল্য আরো বাড়ালে ক্ষতি হবে রপ্তানিমুখী শিল্পের; নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতেও।
গৃহস্থ ঘরের হেঁসেল থেকে শুরু করে, পরিবহন, কলকারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ দৈনন্দিন জীবনের জ্বালানি চাহিদার একটা বড় অংশেরই প্রাথমিক উৎস প্রাকৃতিক গ্যাস।
মূল্য বৃদ্ধির বছর পার না হতেই আবারো গ্যাসের মূল্যহার পুননির্ধারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বেশ ক’মাস আগে বিতরণ ও সঞ্চালন কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে গ্যাসের নতুন মূল্য এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে প্রস্তাব করা হয়। মূল্যহারে ১৩০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছে। যাতে এক চুলার মূল্য দাঁড়াবে ১১০০ টাকা, দুই চুলা ১২০০ টাকা। বাড়বে মিটারযুক্ত আবাসিক গ্যাস ও সিএনজিসহ শিল্পখাতেও।
ত, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ী মহলের আশঙ্কা- বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা না করে এভাবে মূল্যবৃদ্ধিতে লোকসানের মুখে পড়বে রপ্তানিমুখী শিল্প।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, ‘গ্যাস সংকটে থাকা অবস্থায় তাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তাতে তাদের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। এরপর সেই গ্যাসের দাম যদি আবার বাড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে তারা তো ক্রস ফায়ারে মরে গেল।’
শিল্পখাতে গ্যাসের পরিবর্তে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিও উঠে আসে ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে।
তাদের মতে, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ শিল্পখাতে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ পরিস্থিতিও হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।