তিন মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না সিটিসেলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এছাড়া বিগত ৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে তাদের সব ধরনের পদোন্নতি, বেতন ভাতা বাড়নোসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা। এ অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চাকুরীজীবীরা।
বিষয়টি স্বীকার করে সিটিসেল কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে মুনাফা কমায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সারাদেশে বিভিন্ন কাস্টমার কেয়ার, মোবাইল টাওয়ার এবং সব অফিস মিলিয়ে সিটিসেলের কর্মকর্তা কর্মচারী ৬ শতাধিক। কিন্তু কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা কমতে থাকায় বাড়তে থাকে লোকসানের পরিমাণ। ৩ মাস ধরে যার বোঝা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে এখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীরা। বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির চাকুরীজীবীরা।
কর্মকর্তা কর্মচারীদের বর্তমান পরিস্থিতি স্বীকার করে সিটিসেল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী বলছেন, নতুন বিনিয়োগ পেলেই সমস্ত বকেয়াই পরিশোধ করা হবে।
দীর্ঘদিনের পরিচিত নাম্বারটি বন্ধ হয়ে গেলে ভোগান্তিতে পরবেন বলে মনে করেন সিটিসেলের গ্রাহকরা।
তবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি তাদের বকেয়া এবং গ্রাহকদের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
সিটিসেল বন্ধ বা প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে বিটিআরসির যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সবার কথা বিবেচনা করেই একটি সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ বলে মত সংশ্লিষ্টদের।