আবিদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম
ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। বায়োপিকের ট্রেইলারে দেখানো হয়েছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড় ও শচিন তেন্ডুলকরের মতো তারকাদের দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ভারত অধিনায়ক ষড়যন্ত্র করছেন।
সিনিয়র ক্রিকেটারদের দলে চাননি ধোনি, এরকমই একটা অভিযোগ ছিল ধোনির বিরুদ্ধে। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায় অন্য গল্প। নির্বাচকদের নাকি ধোনি প্রভাবিত করতেন। সৌরভের বিরুদ্ধে নেতিবাচক তথ্য পেশ করতেন নির্বাচকদের কাছে। সিনিয়রদের বিরোধী ছিলেন ধোনি বলে শোনা যায়।
বায়োপিকের ট্রেইলারেও তেমনটাই দেখানো হয়েছে। ধোনিকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে দেখানো হয়েছে। অধিনায়ক থাকার সময়ে ধোনি কি সেরকমটাই করেছিলেন? ধোনিকে নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই ভারতীয় ক্রিকেটে। নিন্দুকেরা বলে থাকেন, ধোনি চাননি ভারতীয় ক্রিকেটের ব্রহ্মা—বিষ্ণু—মহেশ্বরকে। সৌরভ-দ্রাবিড়-শচিন ধোনি-জমানাতেই অবসর নেন। বায়োপিক মানেই তো একজনের জীবনের সত্য ঘটনা তুলে ধরা। ধোনির বায়োপিকেও সেরকমটাই তুলে ধরা হবে, এটাই তো স্বাভাবিক।
ট্রেইলারে দেখানো হয়েছে, সিনিয়র ক্রিকেটারদের দলে চাননি ধোনি। ধোনির অঙ্গুলি হেলনেই নির্বাচকরা সৌরভ-রাহুলের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের দলে রাখতেন না। অর্থাৎ ধোনি যেমন চাইতেন, সেটাই মেনে নিতেন নির্বাচকরা। সৌরভরা ছিলেন হাতের পুতুল। যদিও সিনিয়র ক্রিকেটারের নাম নেওয়া হয়নি ট্রেইলারে। তাতে কি সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা সম্ভব? অনেকেই বলতে শুরু করে দিয়েছেন, তিন সিনিয়র ক্রিকেটারকে অপমান করা হয়েছে ধোনির বায়োপিকে।
নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করার জন্য অবশ্য ‘মাঠে’ নেমে পড়েছেন পরিচালক নীরজ পাণ্ডে। বলেছেন, ‘কোনও ক্রিকেটারকে অপমান করা হয়নি। কাউকে আঘাত করার কোনও মানসিকতাও ছিল না। স্পোর্টসম্যান স্পিরিট নিয়েই ছবিটি বানানো হয়েছে। কাউকে ছোট করা হয়নি।’