আবিদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম
বিজয়ার শোভাযাত্রা সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করে রাত ৯টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপদ পরিষদ। সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল বলেন, আগামী ১১ অক্টোবর সন্ধ্যার মধ্যে বিজয়ার শোভাযাত্রা শেষ করা এবং রাত ৯টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করতে হবে। মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুক্রবার থেকে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। দেবি দুর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে ৭ অক্টোবর শুরু হবে মূল পূজা। ১১ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব। এবার দুর্গাপূজার পর দিনই মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আশুরা (১০ মহররম) থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তাপস বলেন, “দুই উৎসবের পবিত্রতা রক্ষায় আমাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” গত বছর ধরে হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে এবার পূজার সময় সরকারের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে; যদিও র্যাব-পুলিশের জঙ্গি দমন অভিযানের মধ্যে সে ধরনের ঘটনা কয়েক মাস ধরে ঘটছে না। “আমরা আতঙ্কিত নই, কিন্তু শঙ্কামুক্তও নই,” বলেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস। গত বছর সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হলেও এবার তা বেড়ে ২৯ হাজার ৩৯৫টি মণ্ডপে হবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাতিল করে হিন্দু ফাউন্ডেশন গঠনের দাবিও জানানো হয়। আগমী ১১ অক্টোবর দুর্গাপূজার সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে ১২ অক্টোবর আশুরার সরকারি ছুটি নির্ধারিত আছে। ঈদের মতো দুর্গাপূজায়ও তিন দিনের সরকারি ছুটি চেয়ে পূজার সময়ও বঙ্গভবন, গণভবন, নগর ভবনসহ জেলা পর্যায়ের সরকারি ভবনে আলোকসজ্জার দাবি জানান তাপস। এ ছাড়া পূজার দিন কারাগারগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, পূজা মণ্ডপে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।