দেশে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে লোডশেডিং যা গ্রাম-গঞ্জে হয়ে ওঠেছে অসহনীয়। অথচ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা চাহিদার তুলনায় বেশি ভারত থেকে আমদানিও হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পরিমান আকস্মিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না সঙ্গে আছে বিতরণ ব্যবস্থায় কিছু ক্রুটিও।
সরকারি হিসেবে দেশে বিদ্যুৎ গ্রাহক দুই কোটি ২০ লাখের মতো। বিদ্যুৎ বিভাগ ২০১৮ সালের মধ্যেই সবার কাছে নিয়ে যেতে চায় এ সেবা। যে কারণে প্রতিমাসে প্রায় তিন লাখ গ্রাহকে দেয়া হচ্ছে নতুন সংযোগ।
গ্রাহক বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না বিদ্যুৎ সেবার মান। পিছু ছাড়ছে না লোডশেডিংও। উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লেও চাহিদা আট হাজার মেগাওয়াট পেরুলেই বাড়ে লোডশেডিং। ৩ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি খুব একটা বেশি না হলেও ভোগান্তির অভিযোগ আগেরই চেয়েও বেশি।
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবার ক্ষেত্রে শহরের গ্রাহকরা সুবিধা পেলেও বেশি দূর্ভোগ গ্রামাঞ্চলে। আবশ্য পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিদ্যুৎহীনতার ভোড়ান্তি মূলত বিতরণ ব্যবস্থার ক্রুটির কারণে
বিদ্যুৎ এর বড় প্রকল্প গুলো উৎপাদনে আসতে দেরি হওয়ায় গ্রাহক ভোগান্তি কমছে না বলে স্বীকারও করেন বিদ্যুতের কর্মকর্তারা
দেশে সর্বচ্চো বিদ্যুৎ উৎপাদেনর রেকর্ড গত জুনে ৯০৩৬ মেগাওয়াট। পরিসংখ্যান বলছে, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার ক্রুটির কারণে এখনো অপচয় হয় প্রায় ১৩ ভাগ বিদ্যুৎ ।