বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বর্তমান সরকার এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ইতিবাচক নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে আমন্ত্রিত বিদেশী অতিথিরা।
ভারত, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ইতালিসহ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত পর্বে বক্তব্য রাখেন।
“শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের জননেত্রীই নন, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জননেত্রী” বলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট বিনয় প্রভাকর এমপি। আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে তাঁর দল ও সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় জনতা পার্টি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিনয় প্রভাকর।ইউনাটেড রাশিয়ার নেতা সের্গেই জেলেজনিয়াগ এমপি জানান বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন,“ বিশ্বে রাশিয়া এবং বাংলাদেশের অবস্থান একই রকমের। বাংলাদেশ-রাশিয়ার সম্পর্ক সমতা ও পারস্পারিক শ্রদ্ধার। এজন্য তারা একে অপরের সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এরমধ্যে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক লেনদেন ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এ বছরও দুই দেশের বাণিজ্যের লেনদেন ইতিবাচকভাবে বাড়ছে”।বিশ্বে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে তাঁর দল ও সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার ঝেং জিয়াওজং।
নেপালের সিনিয়র নেতা ড. রাম সরেন মাহাতো বলেন,“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে খুবই শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে। উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী ২০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিদেশি অতিথিদের পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
ড. রাম সরেন মাহাতো বলেন, ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। ওই মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি একজন মহান নেতা। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়ন করছে। নেপালও উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বন্ধুত্ব গভীর”।
ভারত, রাশিয়া, চীন সহ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ১২টি দেশের রাজনৈতিক দলের ৫৫ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছে।
বিদেশী অতিথিরা চার দিন বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এই সময়ে তাদের সঙ্গে একজন করে হোস্ট অফিসার থাকবেন। সম্মেলনের বাইরে কোন অতিথি কোথাও যেতে চাইলে তাদের জন্য নিরাপত্তাসহ সংসদ সদস্যদের (সংসদ সদস্যসহ) গাড়ি থাকবে।
এর বাইরে গ্রুপ আকারে অতিথিরা কোথাও যেতে চাইলে তাদের জন্য নিরাপত্তাসহ বড় এসি বাস থাকবে।