ভিটামিন আর নানা পুষ্টিগুণে ভরা ফল। আর খাবারের তালিকাতেও এর অবস্থান সবার উপরে। মূলত যারা বেশি স্বাস্থ্য সচেতন তারা খাবারের তালিকায় ফল রাখেন। আর এই তালিকায় রাখার সাথে সাথে খাবারের টেবিলে রাখাতেও ফলে আছে ভিন্নতা। কখনো কাঠের ঝুড়িতে আবার কখনো বেতের কিংবা কাচের। আর এর নান্দনিকতা ফলকে পরিবেশন করে নতুন আঙ্গিকে।
কী দিয়ে কীভাবে সাজাবেন :
বর্তমানে বাসাবাড়িতে খাবার টেবিলে বেশি দেখা যায় রঙবেরঙের বাহারি ফলের। মিষ্টি, টক, পানসে সব স্বাদের ফলের দেখা মেলে খাবার টেবিলে। আর এসব রাখা হয় বিভিন্ন নানন্দিক ডিজাইনের ঝুড়িতে। যা হয়ে থাকে কাঠের, প্লাস্টিকের, সিরামিকের, কাঁচের, স্টিলের, ফোমের, কাগজের, কৃস্টালের। স্টিলের বাসকেটগুলো কিছু হয়ে থাকে চ্যাপ্টা আকারের, কিছু গোলাকার আবার কিছু চারকোনাকৃত্রির। কাঁচের ক্ষেত্রে রঙের তারতম্য দেখা যায়। হালকা নীল, কালো, বেগুনি, সাদা, সবুজ ইত্যাদি রঙের ফ্রুট ঝুড়ি পাওয়া যায় বাজারে। কাঠের ক্ষেত্রেও বার্নিশের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়। সিরামিকের ফ্রুট ঝুড়ির ক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয় এর আকার এবং বাহ্যিক সাজ। সিরামকিরে ফ্রুট বাসকেট বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গোলাকার হয়ে থাকে। আকারে ছোট পাত্রগুলোতে পাঁচ থেকে ছয়টি ফল, মাঝারি আকারের পাত্রগুলোতে ছয় থেকে আট আর বড় আকারের ফ্রুট বাসকেটে নয় থেকে প্রায় ১৫টির বেশি ফল রাখা যায়। এছাড়া এসব ফ্রুট বাসকেটগুলোতে ফল রাখলে তা দীর্ঘদিন ভালো থাকে। আলাদা আলাদাভাবে ভিন্ন ভিন্ন বাসকেটে ভিন্ন ভিন্ন ফল রাখা যায়।
দাম :
স্টিলের ফ্রুট ঝুড়ি আপনি পেয়ে যাবেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে, কাঁচের ক্ষেত্রে দাম পরবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, সিরামিকের ফ্রুট বাসকেট পাবেন ২৮০ থেকে ৩১০ টাকার মধ্যে। কাঠের ক্ষেত্রে একটু দাম বেশি পরবে, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে গুনতে হবে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা। প্লাস্টিকের ফ্রুট বাসকেট পাবেন ১০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে, আর কাগজেরগুলো ১৮০ থেকে ২৫০ আর ফোমেরগুলো পাবেন ২০০ টাকার মধ্যে।
কোথায় পাওয়া যায় :
মনের মতো ফ্রুট ঝুড়ি পেতে হলে আপনি যেতে পারেন যমুনা ফিউচার পার্ক, মৌচাক, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, আড়ং, গুলশানের ডিসিসি মার্কেটসহ আপনার পাশের অভিজাত শপিংমলগুলোতে।