টার্গেট হিসেবে ১৪৮ কে একেবারে খারাপ বলা যায় না। তবে এই টার্গেট দিয়েও একেবারেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারলো না ঢাকা ডায়নামাইট। বরিশাল বুলসের ওপেনার মেহদী মারুফের তাণ্ডবে ২ উইকেট হারিয়ে ৪ ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল।
ইনিংসের প্রথম থেকেই ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হন মারুফ। অপর প্রান্তে সাঙ্গাকারা একটু দেখেই খেলছিলেন। দলীয় ৮৮ রানের সাঙ্গাকারাকে (৩০) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচ অনেকটাই নিজেদের হাতের মুঠোই নিয়ে নিয়ে ফেলেছে বরিশাল। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে নামা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ আরো সহজ করে ফেলে মারুফ। সাকিব (২০) মনির হোসেন এর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেও মোসাদ্দেক হোসেনকে (১০) নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মারুফ (৭৫)।
এর আগে শাহরিয়ার নাফিস আর মুশফিকুর রহিমের অর্ধশতকে ঢাকা ডায়নামাইটকে ১৪৯ রানের টার্গেট দেয় বরিশাল বুলস। সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল-এর চতুর্থ আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মাত্র ১০ রানে ওপেনার শামসুর রহমানকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে বরিশাল। মোহাম্মাদ শহিদের বলে মেহেদী মারুফের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে শামসুর ১১ বলে করেন ৬ রান। এরপর ২৯ রানে আরেক ওপেনার দিলশান মনোয়ারেকে ফিরিয়ে চাপে পড়া বরিশালকে আরো চেপে ধরেন ড্যারেন ব্রাভো।
এরপর ডেভিড মিলানের সঙ্গে জুটি বেধে প্রাথমিক বিপর্যয় সামলানোর চেষ্টা করেন চতুর্থ উইকেটে নামা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে সাকিবের বলে মিলান (১৬) সাজঘরে ফিরলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় বরিশাল।
পঞ্চম উইকেটে নামা শাহরিয়ার নাফিসের সঙ্গে ৮২ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান মুশফিক। তবে ফিফটি (৫৫) তুলে নেয়ার পরপরই মোহাম্মাদ শহিদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান নাফিস। এরপর আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে না পারলেও শেষ মুহূর্তের ঝড়ে অর্ধশতক তুলে নেন মুশফিক (৫০)। আর এতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বরিশাল।
ঢাকার পক্ষে ৩ উইকেটের পাশাপাশি একটি করে উইকেট তুলে নেন সাকিব, ব্রাভো এবং বোপারা।