আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সাদুল¬াপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমপুর বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনায় নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও ম্যানেজিং কমিটিকে কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে এই বিদ্যালয়টিতে ছাত্রীদের লেখাপড়াসহ শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করাসহ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক, দাতা সদস্য ও খোর্দ্দকোমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল জোব্বারের বিরুদ্ধে সাদুল্যাপুর থানায় ৭ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের দাবিতে একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের সচেতন অভিভাবকসহ এলাকাবাসিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এবং এই অন্যায়ের প্রতিকার দাবি করেছে।
শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জোব্বার বলেন, মোঃ ওয়ালিউর রহমান বোরহান বিএনপি’র একজন কট্টর সমর্থক। বিদ্যালয়টিকে একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের এডহক ম্যানেজিং কমিটিতে তার আপন ভাগ্নে মোঃ ফিরোজ কবিরকে বেআইনীভাবে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেন। এর প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা চিকিৎসক আব্দুল জোব্বারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে জঙ্গি বানানোর অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হয়। ফলে পরবর্তীতে ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে যোগসাজসী সাক্ষীদের দ্বারা সাক্ষ্য দিয়ে হয়রানীমুলক চাঁদাবাজির মামলাটি দায়ের করেন। তদুপরি সাদুল্যাপুর থানার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের প্ররোচণায় যোগসাজসীভাবে দায়েরকৃত মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার তদন্ত কর্মকতা সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন কালপনিক মনগড়া প্রতিবেদন (৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ নং ৩৩১) আদালতে দাখিল করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আব্দুল কুদ্দুস জলিল, ফেরদৌছ মন্ডল, মো. শাহী মিয়া, মোকাব্বর মিয়া, তাহারুল ইসলাম, ইস্রাফিল, অরবিন্দু চন্দ্র, তাজু মিয়া, মুকুল মিয়া, বাদল, সিদ্দিক মিয়া, আমিনুর রহমান, রওশন মিয়া, শাহ মীর, আব্দুল মালেক, রানা মিয়া, ফুল মিয়া প্রমুখ