এবার বছরের শুরুতে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ পালন করার পর কেটে গেছে দেড় মাসেরও বেশি সময়। এখনও নতুন বই পৌঁছেনি হাজার হাজার শিক্ষার্থীর কাছে। বই না পাওয়ায় এসব শিক্ষার্থী পড়েছে বিপাকে। যথা সময়ে বই সরবরাহ না করার জন্য মুদ্রণ কাজে নিয়োজিত ১৮ প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করছে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এর মধ্যে ১৭টিকে শোকজ করা হয়েছে। এদের জরিমানার মুখোমুখি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
একটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এর মালিক বলেন, বই ছাপার প্রয়োজনীয় উপকরণ সময়মতো না পাওয়ায় এ বিলম্ব। এতে আমাদের কোনো দোষ নেই। এনসিটিবি বলছে, যথা সময়ে বই না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করা হয়েছে।
আইনানুযায়ী, তাদের জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। ভুলে ভরা পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সারা দেশে হইচই থামতে না থামতেই এনসিটিবি আরেকটি নতুন কেলেংকারিতে পড়ল।
সূত্র বলছে, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড মনোনীত ১৮টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান প্রায় ২১ লাখ বই সরবরাহ করেনি। ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য শিক্ষার্থী নতুন বই পায়নি। এদের বেশির ভাগই ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থী।
সময় মতো বই না দেওয়ায় জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এসব প্রতিষ্ঠানের জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এছাড়া তাদের আরও দু’ধরনের জরিমানার অর্থও গুনতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দু’জন অতিরিক্ত সচিব বলেন, এনসিটিবির কর্মকর্তারা গ্র“পে ভাগ হয়ে প্রেস মনিটরিং করেন। এজন্য মোটা অংকের সম্মানীও নেন। এরপরও নির্ধারিত সময়ে কাজ তুলতে না পারা রহস্যজনক। বিষয়টি আমলে নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রথমে বই সরবরাহ বাকি নেই বলে দাবি করেন। পরে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাওয়ার কথা জানালে তিনি বলেন, ওইসব প্রতিষ্ঠান কিছু দেরি করেছে। এ কারণে তাদের শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি ক্রয় আইন (পিপিআর) অনুযায়ী তাদের জরিমানা করা হবে।