কোনোভাবেই কমছে না গরুর মাংসের দাম। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধান, তাতেই গরুর মাংসের দাম বেড়ে সাধ্যের সীমা ছাড়িয়েছে। বাজারভেদে প্রতিকেজি গরু মাংসের দাম এখন ৪শ’ ৮০ থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত। আবার কোথাও আরো বেশি। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খাবারটি। তবে বছরের শুরুতে প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম ছিল ৪শ’২০ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা। আর গেলো বছরের প্রথম দিকে বিক্রি হয়েছে ৩শ’ ৮০ থেকে ৪শ’ টাকায়। আকাশছোঁয়া দামের কারণে প্রতিদিন দূরে থাক, সপ্তাহ-মাসে একদিন খাবারের তালিকায় গরুর মাংস রাখতেও হিমশিম খাচ্ছে বেশিরভাগ পরিবার। রাজধানীতে গরুর হাট ইজারাদারের অতিরিক্ত হাসিল আদায় এবং রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধসহ বেশ কিছু দাবিতে গেলো ফেব্রুয়ারিতে ছয় দিনের ধর্মঘট করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করলেও ফল আসেনি। বরং আরেক দফা দাম বেড়েছে। ফলে কমেছে ক্রেতার সংখ্যা। বিক্রি কমায় অনেক কসাই পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। মাংস ব্যবসায়ীরা জানান, অতিরিক্ত খাজনা ও চাঁদাবাজির পাশাপাশি সরবরাহে ঘাটতির কারণই গরুর মাংসের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ। এতে সাধারণ ক্রেতাদের পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে হোটেলগুলোতেও। ভারতীয় গরু না আসা এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের কারণে দাম বাড়ছে-ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগ মানতে নারাজ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ভারতীয় গরু আসা বন্ধ হওয়া একরকম আশীর্বাদ। এতে করে দেশী খামারিদের পাশাপাশি প্রান্তিক গরু খামারিরাই বেশি লাভবান হবেন। আসছে দুই থেকে তিন বছরে মাংসের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলেও আশা তার।