বল হাতে রাজত্ব করলেন বাংলাদেশের বোলাররা। যার শিকার হয়ে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা যোগ দিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। অনেকদিন পর স্বরুপে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমানকেই সামলাতে পারেনি তারা। এছাড়া সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম তো ছিলেনই।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বোলিং তোপের মুখে ৪৬.৩ ওভারে ১৮১ রানেই শেষ হয়ে গেছে আয়াল্যান্ডের ইনিংস। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে দুই দলই হার মানার পর শুক্রবার মাঠে নেমেছিল প্রথম জয়ের সন্ধানে। কিন্তু ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারলো না টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা আয়ারল্যান্ড।
ডাবলিনের মালাইড স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এদিন শুরু থেকেই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের ওপর চড়ে বসেন কাটার মাস্টার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিংকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ। রানের খাতা খোলার আগেই প্রথম উইকেট হারায় আয়াল্যান্ড।
নবম ওভারে আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডকে সাজঘর দেখিয়ে দেন ডানহাতি অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার করা আগের ওভারেই ক্যাচ তুলেছিলেন পোর্টারফিল্ড। কিন্তু সহজ ক্যাচটি মাটিতে ফেলে দেন মোসাদ্দেক। তবে পরের ওভারে বল করতে এসে পোর্টারফিল্ডের তোলা ক্যাচ তালুবন্দী করে নিতে ভুল করেননি মোসাদ্দেক।
এরপর সাকিব আল হাসানের আঘাত। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের শিকার অ্যান্ডি বিলবার্নি। ১৫.৩ ওভারে ৬৩ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসেছে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। তবে তখনো টিকে ছিলেন ওপেনার এড জয়েস। নেইল ও’ব্রায়েনকে সাথে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন তিনি।
কিন্তু আবারো ঘাতক হয়ে হাজির চার উইকেট নেয়া মুস্তাফিজ। এবার তার শিকার ৩০ রান করা নেইল ও’ব্রায়েন। কিছুক্ষণ পর খেই হারান সর্বোচ্চ ৪৬ রান করা এড জয়েসও। অভিষিক্ত সানজামুল ইসলামের শিকারে পরিণত হয়ে থামতে হয় তাকে। দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি কেভিন ও’ব্রায়েন ও গ্যারি উইলসনও। এই দুই ব্যাটসম্যানকেই ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।
১৩৬ রানেই সাত উইকেট হারিয়ে বসে আইরিশরা। দিক হারিয়ে বসা আয়ারল্যান্ডকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করেন জর্জ ডকরেল ও ব্যারি ম্যাককার্থি। কিন্তু এই জুটিকে বেশি পথ পাড়ি দিতে দেননি সানজামুল। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ১২ রান করা ম্যাককার্থিকে ফিরিয়ে দেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার। এরপর ২৫ রান করা ডকরেল ও পিটার চেসকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডকে অলআউট করার কাজটি সারেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাত্র ২৩ রান খরচায় মুস্তাফিজ নিয়েছেন চার উইকেট। মাশরাফি ও সানজামুল দুটি এবং সাকিব ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট নেন।