তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে তিন জেলায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে এক শিশু, ঝড়ে গাছচাপা পড়ে ছয় জন এবং আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন।
কক্সবাজারে পাঁচ জন, রাঙ্গামাটিতে দুই জন ও ভোলায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভোলার মনপুরায় ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ভেসে রাশেদ নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। রাঙ্গামাটিতে গাছ চাপা পড়ে মারা যান ভেদভেদী এলাকার মুসলিমপাড়ার স্কুলছাত্রী জাহিদা সুলতানা নাহিমা (১৩) ও আসামবস্তি এলাকার গৃহবধূ হাজেরা বেগম (৪৫)।
কক্সবাজারে নিহতরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরা গ্রামের রহমত উল্লাহ (৫০), পূর্ব বড়ভেওলা গ্রামের সায়রা খাতুন (৫৫), পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া গ্রামের আবদুল হাকিম (৬৫), সদরের ইসলামাবাদের শাহীন আকতার (১০) ও নুনিয়াছড়ায় একটি আশ্রয় কেন্দ্রে মরিয়ম বেগম (৫০)। তাদের মধ্যে মরিয়ম বেগম ঝড়ের সময় আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
উল্লেখ্য, ৩০ মে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ উপকূলে আঘাত হানে। এরপর সকাল ছয়টার দিক থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এটি কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলরেখা অতিক্রম করার পর স্থলভাগে উঠে আসে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরার কেন্দ্রভাগ বা চোখ। বৃষ্টিতে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়ে মোরা রাঙ্গামাটির দিকে অগ্রসর হয়। সেখানেও ভারি বর্ষণ ঘটিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের মিজোরামের দিকে চলে যায়।