সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহা সড়কে সেতু গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল গোল চত্বর পর্যন্ত পরিবহুনের দীর্ঘ সারি.থেমে থেমে চলছে পরিবহন। ফলে দীর্ঘ ক্ষন অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের আর এতে দুর্ভোগে পড়েছে ঈদে ঘড়মুখো মানুষেরা। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়ক দিয়ে উত্তর এবং দক্ষিন বঙ্গের পরিবহন চলাচল করে। ঈদকে সামনে রেখে এই সড়কে পরিবহনের চাপ একটু বেড়ে যায়। তবে এ বছর এই সড়কে খানা খন্দ এবং নলকা এলাকায় সরু সেতুর কারনে গাড়ীর গতি কমে যাচ্ছে,সড়কে মাঝে মাঝে বিকল হয়ে যাচ্ছে যান ফলে সৃস্টি হচ্ছে দীর্ঘ সারির। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আব্দুল কাদের জিলানী জানিয়েছেন অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ীর বাড়তি চাপ এবং মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দের কারনে গাড়ীর গতি কমে যাচ্ছে যার কারনে গাড়ী গুলো থেমে থেমে চলছে তবে এখন পর্যন্ত এ সড়কে কোন যানযটের সৃস্টি হয়নি। সড়কে চলাচল রত পরিবহনের চালকদের অভিযোগ মহা সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত থাকার কারনে গাড়ির গতি কমিয়ে চালাতে হচ্ছে, সড়ক গুলো সংস্কার করা হলে এই দুর্ভোগ পৌহাতে হতো না। একদিকে গাড়ীর বাড়তি চাপ অন্য দিকে মহা সড়কে খানাখন্দের কারনে বিপাকে পড়েছে চালকরা। সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে ঈদে ঘড়মুখো মানুষের ভোগান্তি কামতে এক মাস আগেই কোটি টাকা ব্যায়ে মহাসড়কের সংস্কার কাজ করা হয়। হাটিকুমরুল থেকে উল্লাপাড়া এবং হাটিকুমরুল গোল চত্বর দু’টি প্যাকেজে কোটি টাকার সংস্কার কাজ করে ২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এছারা নলকা সেতুর সংস্কার কাজও করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে তড়িঘড়ি করে যেন তেন ভাবে সংস্কার কাজ করার কারনেই এক মাস না যেতেই সড়কটি পুর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এর সাথে যোগ সাজছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার হবার আগেই কোটি টাকার কাজ শেষ করেছে। তবে এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন ঈদে ঘড়মুখো মানুষের দুর্ভোগ কমাতেই সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়েছিলো কিন্তু গত কয়েকদিনে বৃস্টির কারনে নতুন নতুন স্থানে আবার খানা খন্দের সৃস্টি হয়েছে তবে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। তিনি জানান বিভাগীয় ভাবেই কোটি টাকার এই সংস্কার কাজ করা হয়েছে। তবে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় বিভাগীয় নয় দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে বিনা টেন্ডারে কাজ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে তখন তিনি কিছুটা বিব্রতবোধ করেন। পরে তিনি বলেন জরুরি ভিত্তিকে কাজ এই ভাবেই করা হয় এটাই নিয়ম। পরবর্তীতে টেন্ডার করে এই কাজের ব্যায় এ্যাডজাস্ট করা হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদাসিনতা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে সরকারের কোটি টাকা জলে গেছে বলে মনেকরছেন সাধারন মানুষ । ঈদে ঘড়মুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে এ টাকা ব্যয় করা হলেউ কার্যত এখন ঘড়মুখো মানুষের পৌহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।