২০১১-২০১৫’র সূচিতে বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পেয়েছিল ১০টি টেস্ট সিরিজ। তবে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে সামনে সুযোগ বাড়ছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশসহ ৯ দল নিয়ে টেস্ট লীগ চালুর চিন্তা করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা- আইসিসি। দুবাইয়ে বৈঠকে এমন প্রস্তাব রেখেছে আইসিসির কার্যনির্বাহী কমিটি। প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে চার বছরে আইসিসির শীর্ষ ৯টি পূর্ণ সদস্য দেশ মোট ১২টি টেস্ট সিরিজ খেলবে। এর অর্ধেকটা হোম ও অর্ধেকটা হবে অ্যাওয়ে সিরিজ। প্রত্যেক সিরিজে খেলা হবে কমপক্ষে দুই ম্যাচ। টেস্ট লীগের ভাবনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি জিম্বাবুয়ে ও সদ্য পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনকারী দুই দেশ আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে। বৈঠকে শীর্ষ ১৩ দল নিয়ে ওয়ানডে লীগেরও প্রস্তাব রেখেছে আইসিসির কার্যনির্বাহী কমিটি। ২০২০ থেকে টানা দুই বছর ওয়ানডে লীগ খেলবে দলগুলো। টেস্ট ও ওয়ানডে লীগ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে আইসিসির আগামী অক্টোবরের সভায়। প্রভাবশালী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) শুরুতে আইসিসির এমন ভাবনার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। তবে সর্বশেষ বৈঠকে বিষয়টিতে নমনীয় দেখায় তাদের। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পরই সূচিত হবে টেস্ট লীগের। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত চলবে এ টেস্ট লীগ। শেষে শীর্ষ দুই দল খেলবে প্লে-অফ। ২০১১-১৫’র চার বছরে অস্ট্রেলিয়া ১২, ইংল্যান্ড ১৩, ভারত ১২, দক্ষিণ আফ্রিকা ১২, নিউজিল্যান্ড ১৬, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩, পাকিস্তান ১৪, শ্রীলঙ্কা ১৪ ও জিম্বাবুয়ে ৯ ও বাংলাদেশ খেলে ১০টি টেস্ট সিরিজ। প্রস্তাবিত টেস্ট লীগে সুযোগ নেই জিম্বাবুযে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের। পরস্পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে তারা। আর শীর্ষ ৯ দলের কেউ সময় দিলে খেলার সুযোগ থাকবে তাদের। দুই বছরব্যাপী ওয়ানডে লীগ শেষে শীর্ষ দলগুলো ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাবে। দুবাইয়ে আইসিসির সর্বশেষ সভায় সংস্থার নতুন গঠনতন্ত্রেরও অনুমোদন দিয়েছে কার্যনির্বাহী কমিটি।
আয় কমলো ৪ মিলিয়ন ডলারের
আইসিসির সঙ্গে সর্বশেষ সমঝোতায় ১১২ ডলারের আয় বাড়লো ভারতের। এতে বাংলাদেশের আয় কমলো ৪ মিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ সমঝোতায় ৪০৫ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে ভারত। গত এপ্রিলে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে ভারতের আয়ের অঙ্কটা রাখা হয়েছিল ২৯৩ মিলিয়ন ডলার। ২০১৫ থেকে ২০২৩ আইসিসির রাজস্ব বণ্টনে আইসিসির প্রস্তাবে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ছিল ১৩২ মিলিয়ন ডলার। তবে ভারতের সঙ্গে আইসিসির সর্বশেষ সমঝোতায় বাংলাদেশের আয়ের অঙ্কটা ১২৮ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। গত এপ্রিলে কার্যনির্বাহী ভোটাভুটিতে এ প্রস্তাব পাস হলেও বেঁকে বসে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এ কারণে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা দল ঘোষণা করে নির্ধারিত সময় থেকে দেরিতে।