কক্সবাজারের চকরিয়া ও পার্বত্য বান্দরবানের লামা সড়কের মিরিঞ্জা পাহাড়ের ট্যপে জিপ গাড়ীর দূর্ঘটনায় ১০ ব্যাক্তি নিহত ও অন্তত ২০ ব্যাক্তি আহত হয়েছে । প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানায়, লামা-চকরিয়া সড়কের মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকার পাহাড়ী বাকেঁ আজ ২৬ জুন সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পবিত্র ঈদের দিনে এ মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। পার্বত্য লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন প্রতিবেদককে জানান, ঘটনাস্থল থেকে আহত ও নিহতের লাশ উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারী হাসপাতাল সহ কয়েকটি বেসরকারী হাসপাাতলে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। এ যাবৎ কারো পরিচয়ও পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীরা প্রায়ই পার্বত্য আলীকদম উপজেলার বাসিন্দা। যাত্রীবাহী (জীপটি) চান্দের গাড়ীটির নং ঢাকা-ল ২১২। মিরিঞ্জার বাসিন্দা কয়েকজন লোক জানায়, গাড়ীটি আলীকদম থেকে জিপের ভিতরে ও ছাদে নিয়ম ভঙ্গ করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চকরিয়া আসছিল। ১০/১২জনের সিট সম্বলিত এ একটি মাত্র গাড়ীতে ৫০ জনেরও অধিক যাত্রী ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। চলন্ত পথে মিরিঞ্জা পাহাড়ী এলাকায় জিপ-গাড়ীটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এদিকে পুলিশ জানায়, এ গাড়ীটিতে ৭০ লিটার চোলাই মদ পাওয়া গেছে।
এ সময় ড্রাইভার পালিয়ে যায় বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। দূর্ঘটনাস্থলেই ৭জন এব চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে আনার পথে ৩জন যাত্রী যাত্রী মারা গেছে। চকরিয়া সরকারী হাসপাতালের পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ সোলতান আহমদ সিরাজী বলেন, দূর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরতর। এদিকে দূর্ঘটনা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম, নবাগত লামা উপজেলার মহিলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস খিন ওয়ান নু ও লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন। এ সময় পুলিশের সাথে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার ব্যাটেলিয়ান সদস্যরাও লাশ উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন।