সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনার ভাঙ্গন হতে বাকি এলাকা টুকু রক্ষায় পাউবোর উদ্যোগে নির্মিত বাধটি আর টিকতে পারছেনা। ঘর-বাড়ি রক্ষা করার পরিবর্তে সে নিজেই যমনার থাবায় পরিনত হচ্ছে বার-বার। ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭ কিলোমিটার এই বাধের আজিমুদ্দিন মোর হাজির ঘাট অংশে সোমবার দুপুরে প্রায় ১শ মিটার এলাকা বিলীন হয়েছে। ১০ দিনের মাথায় এই ধস দিয়ে চলতি বছরে ৬ দফা ধসে গেল এ বাধ।
নির্মানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনেই কাজ প্রায় সমাপ্তির দিকে যাওয়া বাধটি মুলত ধসের কারন বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই ধসের পরিধী ঠেকাতে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। তাই সবার মাঝে দেখা দিয়েছে আতংক।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র এবং এলাকাবাসী জানায়, চৌহালী উপজেলা সদরের পৌনে ৪ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইলের সোয়া ৩ কিলোমিটার মিলে ৭ কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক ১০৯ কোটি টাকার বরাদ্ধ গ্রহন করে। এই টাকা দিয়ে ভাঙ্গনের রশি টেনে ধরতে নদীর পুর্ব পাড়ের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সরাতৈল থেকে দক্ষিনে নাগরপুর উপজেলার শাহজানীর খগেনের ঘাট, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোরজানের চেকির মোড়, আজিমুদ্দি মোড়, খাসকাউলিয়া, জোতপাড়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার
গত ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর সংরক্ষন বাধ শুরু হয়। যার ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে হঠাৎ করে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নদীর চৌহালীর আজমউদ্দিন মোড় ঘাট অংশে প্রায় ১শ মিটার জুড়ে ধসে যায়। বাধ থেকে বিচ্ছন্ন হয় পাথরের বোল্ড ও জিও ব্যাগ। সাধারন ¯্রােতে আকষ্মিক এ ধসে এলাকা জুড়ে সবার মাঝে আতংক দেখা দিয়। বাধ সম্পর্ন হবার আগেই দফায়-দয়ায় এমন ভাঙ্গন নির্মানে স্লপিং কাজে অকার্যকর মাটি নিচে ফেলে ব্লক দেয়া সহ পাথরের চারপাশে ফাকা স্থান গুলো সিমেন্ট দিয়ে পুর্ন করে না দেয়ায় পানি ঢুকে তা সাধারন ¯্রােতেই সরে এই ধস দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। চলতি বছরে ৬ দফা ধসে মুল বাধটিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাই কাজ নিয়ে অসন্তোষ ক্ষোভ প্রকাশ ক্ষুব্দ এলাকাবাসী।
এদিকে বাধটি বার-বার ধসে চিন্তিত তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ। তিনি জানান, বার-বার ধসে আমরাও বিব্রত। তাই প্রধান প্রকৌশলী ও পাউবো মহাপরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি তারা দ্রুত বাধ পরিদর্শন করে কার্যকরি পদক্ষেপ নিবেন।এক প্রশ্নর উত্তরে তিনি বলেন ঈদের কারণে শ্রমিক না পাওয়ায় কাজ ধরতে দেরি হচ্ছে আগামী কাল কাজ ধরা হবে।জেলা প্রশাসক কামরুন্নাহার সিদ্দিকি এলা বাসির উদ্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন কাজ নিয়ে,তিনি বাধের কাজ দূত গতিতে করার জন্য আহবান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চৌহালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন. উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদেকুর রহমান.থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি আকরাম হোসেন. সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুর রহমান শহিদসহ প্রকল্পের ইনজিনিয়ার