ঙ্গবন্ধুর নামে অনেক টুর্নামেন্ট হয়েছে। এবার জাতির জনকের নামে আন্তর্জাতিক সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশ অংশ নেবে। তবে স্কোরবোর্ড আর ডাইভিং অকেজো থাকায় এবং বরাদ্দকৃত বাজেট পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আটকে থাকায় আন্তর্জাতিক মানের এই টুর্নামেন্টটি আয়োজনে দেরি হচ্ছে বলে জানান ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ। ‘অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি। এশিয়ান সুইমিং ফেডারেশনকেও জানানো হয়েছে। এখন দেখা যাক কি হয়’-বলেন তিনি।
দীর্ঘ দিন ধরেই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সের স্কোরবোর্ড। ২০১০ ঢাকা সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে আনা হয়েছিল এই স্কোরবোর্ডটি। কিন্তু এরপর থেকেই তা বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফি বছর জাতীয় সাঁতারের আগে উদ্যোগ নিলেও সংস্কার হয় না স্কোরবোর্ড। আর্থিক সংকটেই এমনটা হচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে। তাছাড়া নিজস্ব কমপ্লেক্সে ডাইভিং থাকার পরও সংস্কারের অভাবে সেখানে ডাইভিং প্রতিযোগিতা করতে পারছে না ফেডারেশন। ফলে প্রতি বছরেই জাতীয় প্রতিযোগিতার ডাইভিং ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হয় নৌবাহিনীর ডাইভিংয়ে। দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সুরাহা করতেই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চাইছে ফেডারেশন। আগামী বছরের মার্চ কিংবা এপ্রিল মাসকে নির্ধারণ করা হয়েছে টুর্নামেন্টের সময়। যেখানে অংশ নেবেন ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও স্বাগতিক বাংলাদেশের জাতীয় সাঁতারুরা। এর প্রেক্ষিতে ১০ কোটি টাকার একটি বাজেট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। পরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে সেই বরাদ্দ চাওয়া অর্থের ছাড়ও নাকি দেয়া হয়। কিন্তু কোথায় কি কারণে ওই ফাইলটি পড়ে রয়েছে তা জানেন না স্বয়ং সাধারণ সম্পাদকও। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্কোরবোর্ড ও ডাইভিংসহ অন্যান্য সংস্কারের জন্য ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়ার প্রেক্ষিতে ছাড়ও হয়েছে। এছাড়া টুর্নামেন্টটি পুলে গড়ানোর জন্য আরো এক কোটি টাকার বাজেটও করেছি আমরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানিয়েছি। এশিয়ান সুইমিং ফেডারেশনের কাছ থেকেও অনুমোদন নিয়েছি। তবে বরাদ্দকৃত অর্থ পেলে আমরা বৃহৎ এই আসরটি আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে পারবো। কারণ বিদেশ থেকে আসা সাঁতারু, জাজ, জুরিদের ঢাকায় আসা-যাওয়া এবং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে। তাই অর্থছাড়ের বিষয়টি খুবই জরুরি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে সময় মতোই আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করতে পারি।’