এক ঘরে ৩ লাশ। মা, মেয়ে, ছেলে। সবার পরিচয় এখন মৃত। এমন ঘটনায় হতবাক এলাকার লোকজন। হত্যা না আত্মহত্যা তা বলতে পারছেন না কেউ। এমন মর্মান্তিক ঘটনা চাউর হলে পুরো উপজেলার মানুষ শোকাহত। একনজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন ওদের বাড়ি ও হাসপাতালে। মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানা পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ভোলাকান্দি গ্রামের একই পরিবারের ৩ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ তাদের বসতঘর থেকে উদ্ধার করেছে। নিহতরা হচ্ছেন কাতার প্রবাসী আকামত আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম (২৫), মেয়ে লাবনী বেগম (৫) ও ছেলে ফারুক আহমদ (৩)। নিহত মাজেদার বাবার বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার সাদিপুর গ্রামে। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা। এ নিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে নানা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, কাতার প্রবাসী আকামত আলীর স্ত্রী বসত বাড়ীর প্রায় ১শ’ গজ অদুরে মিস্ত্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করাচ্ছেন। প্রতিদিনই তিনি মিস্ত্রীদের সাহায্য সহযোগিতা করতেন। মঙ্গলবারও তিনি বসত ঘর ও নির্মাণাধীন স্থানে যাওয়া আসা করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দিবাংশু নামে মিস্ত্রী সিমেন্টে নিতে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে। দীর্ঘক্ষণ সাড়া না পেয়ে দরজার ফাক দিয়ে মাজেদাসহ মেয়েকে ঝুলন্ত দেখে লোকজনকে জানায়। খবর পেয়ে ওয়ার্ড মেম্বার মাসুক আহমদ ও আ’লীগ নেতা মোক্তার আলী পুলিশে খবর দেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত লাশ ও মেঝে থেকে শিশুপুত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে।