আরজে রাফি সম্পাদনায় , স্বদেশ নিউজঃ
ঘরে থাকা অতি সাধারণ খাবারেই চমকপ্রদ উপকার মিলতে পারে। আধুনিক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে ওজন। তাই ওজন কমাতে গবেষণার কমতি নেই। এখানে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন একজন। তিনি ওজনটাকে খুব সহজেই বাগে রেখেছেন। আর তার জন্যে খুব বেশি কিছু করতে হয়নি। মাত্র একটি ফলের জাদুতে আজ তিনি স্বাস্থ্যবান একজন মানুষ। মজার খাবারটি সম্পর্কে জেনে নিন।
আরো পড়ুন: ৪০ পেরোলে যা খাবেন
তিনি নিজেই বললেন, ছোটকাল থেকেই আমার প্রিয় একটি ফল কলা। মিষ্টি স্বাদের এই ফল দ্রুত ক্ষুধা মেটায়। হজমও হয় তাড়াতাড়ি। অবশ্য অনেকে কলা খেতে চান না। বাচ্চাদেরও কলার প্রতি অনীহা রয়েছে। কিন্তু এর সহজ সমাধানটি হলো ‘বেনানা শেক’। খুব সাধারণ জিনিস। পছন্দ না হলেও চোখ-নাক বন্ধ করে খেয়ে ফেলা যায়। এর চেয়ে স্বাস্থ্যকর পানীয় আর হয় না।
ছোটকাল থেকেই বেনানা শেক খেয়েছি। সেই সময় থেকেই সারাদিন দৌড়ঝাঁপের পরও আমার কোনো ক্লান্তি কাজ করতো না। আমার তেমন অসুখও হতো না। ক্ষুধাও মিটে যেতো। প্রতিদিন সকালে এক-দুই গ্লাস বেনানা শেক খেলে বাচ্চারা অস্বাস্থ্যকর জিনিসও খেতে চাইবে না।
বড় হয়ে বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। আমাকে জানিয়েছেন মা। একদিন মা বললেন, ছোটকালে কলার শেক খেয়ে প্রথমে কিছুটা মোটা হয়েছিলাম। কিন্তু সব বাচ্চার মধ্যে মোটাভাব আসতেই পারে। কিন্তু বেড়ে ওঠার কালে স্থূলতার সমস্যা আমার কখনোই ছিল না। বড় হওয়ার পর সকালের যত অস্বাস্থ্যকর নাস্তার জায়গা দিয়ে দিলাম কলাকে।
কেউ চাইলে এখোনি শুরু করতে পারেন। একটানা ১০ দিন করার পর দেহের ভেতরের সব দূষণ চলে যাবে। তরতাজা ভাব আসবে দেহে। ফাইবার আছে প্রচুর। তাই সহজে হজম হবে। আর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান তো মিলছেই। সকালে আপনার বাড়তি বাজে জিনিস খেতে হবে না। খাওয়ার ইচ্ছাও হবে না। কলার শেকের স্বাদে ভিন্নতা আনতে অন্যান্য টুকটাকি জিনিসও দিতে পারেন। পুদিনা পাতা, মধু বা হালকা গোল মরিচের গুঁড়া চলতেই পারে। ওজন বাড়ার কোনো সুযোগই নেই। প্রতিদিন কলার শেক খেয়ে আমরা তিনটা উপকার স্পষ্টভাবে মিলেছে।
আরো পড়ুন: জীবন সম্পর্কিত ৮টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা
১. চিনি ছাড়া প্রতিদিন বেনানা শেক খেতাম। বড় হওয়ার পর একটা পর্যায়ে আবার মুটিয়ে যাই। আবার শুরু করি বেনানা শেক খাওয়া। এতে মাত্র ১০ দিনের মাথায় ৩ কেজি ওজন কমে যায়। খুব দ্রুত ওজন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে! পর্যাপ্ত পানি এবং বাড়িতে বানানো খাবার খেতাম।
২. নিয়মিত বেনানা শেক খাওয়া অবস্থায় আমার কখনো পেটের পীড়া দেখা দেয়নি। অথচ একটা সময় হজমে মারাত্মক সমস্যা ছিল। কিন্তু বেনানা শেক খাওয়ার কারণে আর কখনো পেটের সমস্যা দেখা দেয়নি।
৩. ক্ষুধা কমে যায়। অর্থাৎ, আজেবাজে জিনিস খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও পেট ভরা। কাজেই খাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হয় না। আর যেখানে হজমে সমস্যা নেই এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার পেটে পড়ছে না, সেখানে ওজন বাড়ার কোনো কারণ নেই। আমি একটা পর্যায়ে বুঝতে শুরু করলাম, অন্য অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আমার কোনো আগ্রহ নেই। এই এক কলার শেকেই আমি দিব্যি সুস্থ!
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া