রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মঙ্গলবার অনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবার উদ্বোধন করা হয়। ফোর-জি ভিডিও কলের মাধ্যমে বিভাগীয় শহর থেকে এ মূহুর্ত উদযাপনের চিত্র দেখানো হয় ঢাকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
ঢাকার অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, রবিকে ধন্যবাদ দেই, এত অল্প সময়ে জেলা পর্যায়ে ফোর-জি সম্প্রসারণ করেছে। আশা করি রবি ফোর-জি প্রত্যান্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ অপারেটরদের কাছ থেকে ভাল সেবা আশা করে। অপারেটররা তা মাথায় রেখে ব্যবসায় লাভের পাশাপাশি সেবার মানও ঠিক রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের সব সেবা মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে দেয়া হবে। ফোর-জির জন্য শুধু নয়, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের জন্যও যত দ্রুত সম্ভব প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে ডিজিটাল ডিভাইস দিতে হবে।
রবিকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ফোরজি সেবা চালুর মাধ্যমে সারা বিশ্বে আমরা আমাদের সক্ষমতার জানান দিচ্ছি। রবি শুধু অপারেটর হিসেবেই নয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনেও কাজ করছে। আমারা যদি দেশের সব অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট দিতে পারি, তাহলে সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাব।
রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটির তাৎপর্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে একযোগে দেশের ৬৪ জেলায় ফোর-জি সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ফোরজি সেবা চালুর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্প বিপ্লবের চতুর্থ যুগে পা রাখল বাংলাদেশ।
শুরুতে সারা দেশের এক হাজার ৫০০ সাইটে রবির ফোর-জি সেবা শুরু হয়েছে জানিয়ে মাহতাব বলেন, এর বিস্তার প্রতিদিনই বাড়তে থাকবে। মাহতাব বলেন, এ মাসের মধ্যে গ্রামেগঞ্জেও ফোর-জি পৌঁছে দিতে চায় রবি।
অন্যদের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, মালেশিয়ার রাষ্ট্রদূত নূর আশিকিন বিনতি মোহাম্মদ তাইব এবং বিটিআরসি ও রবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।