ক্লাব ফুটবলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে কেনো জানি কিছুই করতে পারেন না। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ভীষণ বেমানান তিনি। এবারই এ তকমা ঘোচানোর শেষ সুযোগ। বলা চলে এর একধাপ হয়তো পেরিয়ে গেছেনও মেসি। কারণ এবারের আসরে অংশগ্রহণ করাটাই দূরহ হয়ে দাঁড়িয়েছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু শেষ ম্যাচে একক প্রচেষ্টায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে অতিমানবীয় হ্যাটট্রিক করে দলকে বিশ্বকাপে জায়গা পাইয়ে দেন লিওনেল মেসি। ক্লাব ফুটবলে প্রায় সব শিরোপাই জেতা হয়েছে মেসির। জাতীয় দল আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার মতো আসরের ফাইনাল মঞ্চে নিয়ে গেলেও ভাগ্য পক্ষে না থাকায় শিরোপা জেতাতে পারেনি মেসি। তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সেরাটার জন্য এখনও পর্যন্ত জিতে নিয়েছেন পাঁচটি মর্যাদার ব্যালন ডি’অর।
বর্তমান সময়ে মেসিকে গ্রহের অন্যতম সেরা ফুটবলার মনে করেন অনেকেই। তবে আর্জেন্টাইন এ সুপারস্টারকে ডিয়াগো ম্যারাডোনার পিছনেই রাখছেন টটেনহাম হটস্পারের কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। বর্তমান প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবলে মেসি আধিপত্য বিস্তার করলেও আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক ম্যারাডোনাই পচেত্তিনোর কাছে সেরা।
আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে নাপোলি কিংবদন্তী ম্যারাডোনাকে খুব কাছ থেকেই দেখার সুয়োগ হয়েছে পচেত্তিনোর। তাই স্বদেশি উত্তরসূরী মেসির ফুটবল কারিকুরিতে মুগ্ধ হলেও ম্যারাডোনাকেই সবার আগে স্থান দিতে চাইছেন তিনি।মেসি ও ম্যারাডোনার মধ্যে কে সেরা? এমন প্রশ্নের জবাব জানতে চাইলে ইতালিয়ান রেডিও স্টেশন সিআরসিকে পচেত্তিনো বলেন, মেসি? আমার কাছে ম্যারাডোনাই সেরা।কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনোরর অধীনে সব প্রতিযোগিতায় এবার দারুণ খেলছে টটেনহাম। লিগে নিজেদের সেরাটা জানান দেয়ার পাশাপাশি মর্যাদার চ্যাম্পিয়নস লিগেও এবার অসাধারণ খেলছে ক্লাবটি।
চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ইতালিয়ান সিরি’আ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসকে ২-২ গোলে রুখে দিয়েছে পচেত্তিনোর প্রশিক্ষিত টটেনহাম।