খাবারে মসলা হিসেবে পেঁয়াজ একটি অন্যতম উপাদান। ব্যপক চাহিদার কারণে প্রতি বছর পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আর এজন্য দেশের অভ্যন্তরীন ঘাটতি পূরণে কৃষকরা উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজ বীজের আবাদ বাড়িয়েছেন। প্রতি বছরের মতো এবারো রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ বীজের চাষ করে বেশ লাভবান কৃষকরা। এজন্য পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে তথ্যমতে, রাজবাড়ী সদর, পাংশা, বালিয়াকান্দি, গোয়ালন্দ ও কালুখালীতে এবছর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হয়েছে ৩৯৭ হেক্টর জমিতে। গত বছর ছিল ৩২৮ হেক্টর। যা উৎপাদনের দিক দিয়ে গত বছরের তুলনায় ৬৯ হেক্টর বেশি।
রাজবাড়ী সদরের কামালপুরের গ্রামের কৃষক হাসান মোল্লা জানান, তিনি প্রতি বছর পেঁয়াজ বীজ চাষ করেন।এবছর তিনি দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছেন, ফলনও ভালো হয়েছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি বীজের বাজারদর দেড়-দুই হাজার টাকা। সে হিসেবে বিঘা প্রতি উৎপাদন দুই -আড়াই মণ। প্রতি মণ বীজ ৬০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। পেঁয়াজ বীজ চাষ করে তিনি এখন স্বাবলম্বী। জেলায় তার মত আরো প্রায় ৬ হাজার কৃষক পেঁয়াজ বীজ চাষ করছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, জমি চাষ থেকে শুরু করে বীজ, সার, কীটনাশক, সেচ দিনমজুর ও ফসল উত্তোলনের সময় বিঘা প্রতি খরচ ২০-২৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমি থেকে বীজ পেয়ে থাকেন দুই-আড়াই মণ। এবছর আশা করছেন এক বিঘা জমির উৎপাদিত বীজ দেড়-দুই লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। কৃষকরা আরো জানান, পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন বেশি লাভজনক হওয়ায় তারা বীজ চাষে ঝুঁকছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন জানান, মসলা জাতীয় ফসলের বাজারদর বেশি হওয়ায় এবছর রাজবাড়ী জেলার কৃষকরা পেঁয়াজ বীজের আবাদ বাড়িয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে কৃষকদের পেঁয়াজ চাষের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ফলে কৃষকরা এবার পেঁয়াজ বীজ চাষ করে বেশি লাভবান হবেন।