আমদানি রফতানী কার্যক্রম বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। গেল ৫ বছরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং বেড়েছে দশ লাখ টিইইউস। সেই সাথ বেড়েছে কার্গো হ্যান্ডেলিংও।

ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে বন্দরের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে না বলে মনে করেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। অবস্থার উন্নয়নে দ্রুত নতুন নতুন জেটি, কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংযোজনের কথা বলছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা

জানা গেছে, দেশের ৮০ শতাংশ আমদানি-রফতানির হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। গেল কয়েক বছরে বেড়েছে এর কার্যক্রমও। পরিসখ্যান অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডেলিং হয় ২ হাজার ১৩৬টি। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯২টিতে।

এছাড়া গেল ৫ বছরে ইনল্যান্ড এবং আইসিডিতে কার্গো হ্যান্ডেলিং বেড়েছে ৩০ কোটি মেট্রিক টন। একই ভাবে বেড়েছে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংও।

পাঁচ বছর আগে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয় ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ৭১৩ টিইইউস। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৮১ টিইইউসে।

তবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বাড়লেও বাড়েনি পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা। এ জন্য বন্দর পরিচালনায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দাবি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সমন্বয় করে বন্দরের গতিশীলতা বাড়াতে আধুনিক যন্ত্রপাতির পাশাপাশি নতুন ইয়ার্ড স্থাপনের পরমর্শ বেসরকারি অপারেটরদের।

বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয় এবং বন্দর উন্নয়নে নেয়া প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে গতিশীলতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান বন্দরের কর্মকর্তারা। তবে বন্দরের আধুকিায়ন যেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় থমকে না যায় সেদিক দৃষ্টি দেয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।