বাবা-মায়ের জনপ্রিয়তাকেও যেন ছাপিয়ে গেছে ১৮ মাস বয়সী তৈমুর আলি খান। এই বয়সী অন্যান্য শিশুদের মতো তৈমুরও কিছুটা চঞ্চল। আর ছেলের এই চঞ্চলতা নিয়ে খানিকটা চিন্তিত বাবা সাইফ আলি খান। তার মতে, ইদানীং তৈমুরের দুষ্টুমি এতই বেড়েছে যে, তাকে ‘গুন্ডা’ বললেও ভুল হবে না।
আসলে তৈমুরের পাশাপাশি সাইফ চিন্তিত তার বোন সোহা আলি খানের কন্যা ইনায়া নাওমি খেমুকে নিয়ে। তৈমুর কখন ইনায়াকে আঘাত করে, এই চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন সাইফ। কারণ তৈমুর নাকি ইনায়ার চুল ধরে টানাটানি শুরু করে দিয়েছে ইতোমধ্যে।
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৈমুর ও ইনায়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাইফ বলেন, ‘তৈমুর ও ইনায়া ঘরে একসঙ্গেই থাকে। ইনায়া খুবই ছোট এবং ভীষণ শান্ত। আর তৈমুর ততটাই দুষ্টু। যদিও আমরা সবসময় ওদের দুজনকে ঘিরে থাকার চেষ্টা করি, তাই চিন্তার কিছু নেই। তবে তৈমুর একটা গুন্ডা। আমার তো সবসময় আতঙ্ক লাগে যে, ও ইনায়ার চুল ধরে না টানাটানি করে!’
কিছুদিন আগে সোহা আলি খান বলেছিলেন, ‘তৈমুরের যা বয়স, ও এই বয়সে সবকিছু নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে যায়। ও এখন সবকিছুই ধরতে পারে। ক্রমাগত এই বিষয়টা ওর মধ্যে বাড়ছে। ও এখন সবকিছু ধরছে আর সেটা ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে। আর ইনায়া এখন অনেক ছোট। তাই আমরা সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকি। তাই ওদের দুজনকে পাশাপাশি রাখতেও আমরা ভয় পাই। বিশেষ করে ভাই সাইফ আরও বেশি ভয় পায়। তৈমুর যখন ইনায়ার কাছাকাছি থাকে, তখন তিনি ভীষণ ভয়ে থাকেন।’
সোহা যে সময় তৈমুরকে নিয়ে এসব কথা বলেছিলেন, সে সময় থেকে এখন যে বিশেষ পার্থক্য ঘটেনি, তা বোঝাই যাচ্ছে সাইফের কথায়।
তৈমুর নিয়ে আরও অনেক কথা শেয়ার করেন সাইফ। তিনি বলেন, ‘তৈমুর সকাল সাড়ে ৭টায় ওঠে আর আমি ৯টায়। ও ঘুম ভাঙলেই আমার বিছানার উপর ওঠে, সেখানে রাখা টর্চটা নেয়, আর সেটা জ্বালিয়ে নিজের জিভের ওপর ফেলে, যেন সে একজন ডাক্তার। তবে রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ও চাঁদ দেখে।
চাঁদ দেখতে ভীষণ ভালোবাসে সে। প্রকৃতি, গাছপালাও খুব ভালোবাসে তৈমুর। কিছুদিন ধরে ও যোগব্যায়াম করছে। ওটা করার সময় ও মুখে নানা রকম আওয়াজ করে, যেটা খুবই বিরক্তিকর। ও শরীর নুইয়ে যোগব্যায়াম করতে যায়, আর সব সময়ই ওল্টে পড়ে যায়।’