পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি বিলাসবহুল সরকারি বাসভবনে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। বরং ওই বিলাসবহুল বাসভবনকে সাধারণের কাজে লাগে এমন কোনও প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চান।
বৃহস্পতিবার দেয়া এক ভাষণে ভিআইপি সংস্কৃতি অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘আজ আমি আপনাদের সবার সামনে ওয়াদা করছি, প্রধানমন্ত্রীর ভবন ‘শাহানা মহল’-এ থাকতে আমার লজ্জা লাগবে। কারণ, এটা এমন দেশ যেখানে অর্ধেকের বেশি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন কী করা হবে, সেটা আমাদের সরকারই ঠিক করবে। বাড়িটাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ওই ধরনের কিছু একটায় বদলে ফেলা হবে যাতে মানুষের উপকার হয়। মন্ত্রী ক্লাবের মধ্যে ছোট কোন জায়গা নেয়া হবে যেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সরকারি ভবনকে জনগণের জন্য কাজে লাগাবো। মানুষের ট্যাক্সের টাকায় বাদশার মতো থাকার বদলে আমরা জনগণের পেছনে ওই টাকা খরচ করবো।
ইমরান খান ঘোষণা দেন, পাকিস্তানে জনগণের টাকায় ক্ষমতাশালীদের যে আয়েশি জীবন-যাপনের সংস্কৃতি আছে সেটা পরিবর্তন করবেন। এই কাজ তিনি শুরু করতে চান নিজের থেকে, তারপর নিজের মন্ত্রীদের এবং একে একে সব সংসদ সদস্যের ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেন তিনি।
৬৫ বছর বয়সী এই নেতা বলেন, এতদিন দেখেছি, ক্ষমতায় যে-ই আসে, বদলে যায়। আমার ক্ষেত্রে তা হবে না। পাকিস্তানে দুর্নীতি মাথাচাড়া দেওয়ায় এবং শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে দেখে ২২ বছর আগে রাজনীতিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিই।