নবাব বিভিন্ন টেইলার্সে শাড়ি সরবরাহ করে। তিনি বিউটিকে খুবই ভালোবাসেন। বিউটি একটি টেইলার্সে দর্জির কাজ করে।
সেই দোকানে নবাব শাড়ি সরবরাহ করতো। দোকানেই তাদের দেখা, কথা বলা। এই পরিচয় থেকে সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বিউটি সারাদিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ক্ষণে ক্ষণে তার ভাবনায় স্থান পায় নবাব।
বিউটিও নবাবকে খুব ভালোবাসে। নিম্ন মধ্যবিত্ত এই দুজনের স্বপ্নের অনেক মিল আছে। দু’জনেরই এই শহর ভালো লাগে না। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও মিলে যায়। তারা দুজনে গ্রামে গিয়ে টেইলার্সের দোকান দেবে। ভবিষ্যৎ চিন্তার জন্য দুজনই কাজে খুবই মনোযোগী।
তবে নবাবের দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা সে বিউটিকে একটি মোবাইল উপহার দিবে এবং তাকে নিয়ে একদিন অভিজাত মানুষের মতো এ-শহরটা ঘুরবে। বিউটি কাজে তেমন অবসর না পেলেও ভালোবাসার মানুষের কথায় সাড়া দিয়ে একদিন বেরিয়ে পড়ে।
আর দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে দু’জনে খাওয়া, ঘোরাঘুরি করা, সিনেমা দেখা সবই করে। সারাদিন তারা ঘুরে ফেরার পথে নবাব বিউটিকে একটি গলিতে নিয়ে গেলে হঠাৎ একটি গাড়ি এসে বিউটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
নবাব বিউটিকে রক্ষা করতে গেলে উল্টো তাকেই মার খেতে হয়। একসময় নিজের জীবন নিয়ে পালায় সে। আসলে সে নিজেই বিউটিকে অপহরণ চক্রের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।
এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর নবাবের উপলব্ধি হয় সে বিউটির সঙ্গে ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে সত্যিই তার প্রেমে পড়েছে। নবাব অপহরণকারীদের ফোন দিয়ে বিউটিকে ফেরত দিতে বলে।
কিন্তু তারা তার ফোনকে গুরুত্ব দেয় না। নবাব বিউটিকে রক্ষা করার জন্য দিশেহারা হয়ে যায়। বিউটির কথা ভেবে তার কষ্ট লাগে। চিন্তা করে যেভাবেই হোক সে বিউটিকে অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
এমন গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে একক নাটক ‘ভালোবাসার সীমান্তে’। ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন মনজুরুল আলম।
এতে অভিনয় করেছেন আব্দুন নূর সজল, আশনা হাবীব ভাবনা প্রমুখ।