চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় দুই গ্রুপের মারামারির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবকের নাম হৃদয় হোসেন শুক্কুর (২৪)।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুক্কুরের মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে মারামারির পর হৃদয়সহ আটজনকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্কুরের স্বজনদের অভিযোগ, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগ নামধারী যুবকরা শুক্কুর ও তার বন্ধুদের কয়েকজনকে লোহার রড ও ইট দিয়ে মেরে গুরুতর আহত করে। পরে শুক্কুর মারা যায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে খুলশী থেকে আট জনকে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। পাঁচজন এখনো চিকিৎসাধীন আছেন।
আর মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারণে গুরুতর আহত শুক্কুর মারা গেছেন। চকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম।
হাসপাতালে শুক্কুরের বন্ধু মো. রুবেল জানান, খুলশী থানার ঝাউতলা এলাকায় তাদের আরেক বন্ধু সাইফুলদের বাড়ি নির্মাণের জন্য ইট নেওয়া হয়েছিল।শুক্রবার সন্ধ্যার পর ট্রাক থেকে ইট নামানোর সময় ছাত্রলীগ নামধারী রনি ও আনিস গিয়ে তাদের বাধা দেয়। দুই লাখ টাকা চাঁদা না দিলে ইট নামাতে দেওয়া হবে না বলে জানায় দুই সন্ত্রাসী। এসময় সাইফুল তার বন্ধু শুক্কুরের বাসায় গিয়ে তাকে ডেকে আনে। রুবেলসহ আরও কয়েকজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে তারা চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করলে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর শুরু হয় লোহার রড, ইট ইত্যাদি নিয়ে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ। এতে শুক্কুরের সঙ্গে সাইফুলসহ ৮ জন আহত হন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, একজন খুন হয়েছে। কয়েকজন আহত আছে। কি কারণে মারামারি হয়েছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ব্যাপরে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে নিহত শুক্কুর এলাকায় দর্জির কাজ করতেন বলে জানান ওসি।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক এ প্রসঙ্গে বলেন, যতটুকু জেনেছি এটা পলিটিক্যাল কোন বিষয় নয়। তবে পলিটিক্যালী আধিপত্য বিস্তারের প্রভাব আছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি এবং খুনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করব।