একবারই যেখানে হয় না, সেখানে দু’বার টক্কর তো নিশ্চিত! ফাইনালে উঠলে তিনবারও হতে পারে। তিনবার ভারত বনাম পাকিস্তান। আট থেকে আশি টিভির সামনে বসার জন্য ছটফট করছে। বিরাট কোহলি বনাম মোহম্মদ আমিরের ডুয়েলটা দুবাইয়ে কোথায়?গত বছরের জুনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওভালে আমিরের স্পেল আর বিরাট আউট হওয়ার পাকিস্তান টিমের উদযাপন আর একবার ইউটিউব খুলে দেখে নিলেই মনে হবে, উত্তেজনা কোন পর্যায়ের ছিল।
সাধে কি আর বিরাটের না থাকা নিয়ে ক্ষোভে ফুটছে এশিয়া কাপের সম্প্রচার স্বত্ব কেনা স্টার স্পোর্টস!ইংল্যান্ডে ১-৪ হেরে আসার রেশ কাটতে না কাটতে এশিয়া কাপ, যেটা কি না সাদা বলের ক্রিকেট। যেখানে সিম মুভমেন্ট আর সুইং নেই, বল হাঁটুর উপরে উঠবে বলেও অভিযোগ নেই। পাকিস্তান ম্যাচে একটা ঝিনচ্যাক ইনিংস বা দু-তিন ওভারের একটা মারকাটারি স্পেল ফের ‘দাদা’ বানাতে পারে ইংল্যান্ডে বল খুঁজতে থাকা তারকাদের।
হংকংয়ের মতো এলেবেলেকে পেয়ে যেমন ফের হিরো শিখর ধাওয়ান। কিন্তু ঘটনা হলো, হংকং বোলিং আর পাকিস্তানের বোলিংয়ের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। একটা আলু ভাতে মার্কা হলে অন্যটা ঝাঁজালো আর জিভ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো গনগনে গরম।
সেই মোহাম্মদ আমির এবং আর এক বাঁ হাতি উসমান খান। তাঁর বলও ঘণ্টায় ১৪০ প্লাসের কমে ছোটে না। এর সঙ্গে রাখতে হবে আরও দুই পেসার ফহিম আশরাফ আর হাসান আলিকে। বিশেষ করে হাসান আলি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে আমিরের যেমন ছয় ওভারে স্পেলে তিন উইকেট ছিল, হাসানেরও তাই। চমৎকার অ্যাকশন, বল একই জায়গায় রেখে যাওয়ার ব্যাপারে অসম্ভব ধারাবাহিক। এতেই বৈচিত্র্য শেষ হচ্ছে না। রিস্ট স্পিনার শাদাব খানও থাকছেন। যাঁর গুগলিটা যথেষ্ট বিপজ্জনক।এসব গোলাগুলি আটকাতে বিরাটহীন ভারতের ভরসা রোহিত শর্মা। কে না জানে, সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি বরাবরের ‘হিটম্যান’ এবং নিজের দিনে বিশ্বের যে কোনও বোলিংকে কাঁদিয়ে ছাড়তে পারেন। শুধু প্রথম কুড়ি-পঁচিশটা বল সামলাতে হবে। বাঁ হাতি আমিরের যে বলটা ভেতরে ঢোকে, সেরকম বলে রোহিত শুরুতে নড়বড়ে থাকেন।
সোজা কথায়, আমিরের প্রথম স্পেলটা রোহিত ও তাঁর টিমমেটদের চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। চ্যালেঞ্জটা ‘বিরাট ছাড়াও পারি’ বোঝানোর, করে দেখানোর। তিনে অম্বাতি রায়াডুর কাছে এটাই শেষ সুযোগ বিশ্বকাপের আগে মিডল অর্ডারে নিজের দাবিটা তুলে ধরার। বিশ্বকাপে তিন নম্বর জায়গাটা বিরাটের, কিন্তু চার-পাঁচ-ছয় নম্বরে কে, এখনও তা নিয়ে ধোঁয়াশা। ধোনি পাঁচে খেলবেন ধরে নিলেও চার ও ছয় নম্বর জায়গায় কে, এখনও পরিষ্কার নয়। গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ায় চার নম্বর জায়গাটা ছিল রাহানের, কিন্তু এখন তিনি ওয়ান ডে টিমেই নেই।