সামনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা। তার আগেই ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নেয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত অর্থও চাওয়া হচ্ছে।
এমন হলে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সুযোগ দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। পরীক্ষার্থী বা পরীক্ষার্থীর অভিভাবক যে কেউ দুদকের হটলাইন বা অন্য মাধ্যমে অভিযান করতে পারেন।
আজ রোববারও এমন একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুদকের একটি দল।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আরটিভি অনলাইনকে বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার সালেহা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা-২০১৯ এর ফরম পূরণে নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত অর্থ চাওয়ায় অভিযান চালিয়েছে দুদক।
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ ) সারোয়ার মাহমুদ এর নির্দেশে আজ পরিচালিত এ অভিযানে অংশ নেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ ফারুক আহমেদ ও উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
কমিশনের অভিযান কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬ এ, এ মর্মে অভিযোগ আসে এসএসসি পরীক্ষা -২০১৯ এর ফরম ফিলআপের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ১৫০০ টাকার পরিবর্তে সালেহা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ৪ হাজার টাকা করে ফি নিচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই স্কুলে অভিযান চালান দুদক বিশেষ টিমের সদস্যরা।
তিনি বলেন, অভিযানকালে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে টিম সদস্যদের সামনেই স্কুল কর্তৃপক্ষ নতুন নোটিস জারি করে।
সেখানে বলা হয়, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক শাখার ছাত্রদের ফরম পূরণ বাবদ নির্ধারিত ১৮৪০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখার ছাত্রদের নির্ধারিত ১৯৫০ টাকা হারে ফরম পূরণের ফি জমা দিতে হবে।
প্রধান শিক্ষক জানান, এখন থেকে কোনও অবস্থাতেই ফরম পূরণে নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা হবে না।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ বলেন, ‘ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত অর্থ নেয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক। এ জাতীয় অপরাধ যাতে সংঘটিত না হয় এ বিষয়টি কমিশন নজরদারি করছে এবং জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। অভিযোগ পেলে এসব অপরাধ প্রতিরোধে দুদক নিয়মিত অভিযান চালাবে।