চট্টগ্রামের পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়কের চৌমুহনী এলাকায় পুলিশ বক্স ভাংচুর ও ট্র্যাফিক পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে আনোয়ারা-চাতরী-চৌমুহনী বাজার এলাকায় এক কাভার্ডভ্যান চালককে একজন ট্র্যাফিক সার্জেন্ট মারধর করলে এ ঘটনা ঘটে। পরে কাভার্ডভ্যান চালক রাস্তার মাঝখানে গাড়িটি রেখে দেয়।এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ট্র্যাফিক বক্সে হামলা ও ভাংচুর চালায় এবং ট্র্যাফিক পুলিশের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ জানান, চাতরী চৌমুহনী বাজার এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ এবং ট্র্যাফিক বক্সে হামলার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে মোটরসাইকেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। চট্টগ্রামে ২৭ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে চট্টগ্রাম মহানগরে ১৩ জন ও জেলায় ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ১৬টি সংসদীয় আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি দেখাশোনা করবেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন জানান, সংসদ নির্বাচনের সময়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে চট্টগ্রামে ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে যে নির্ধারতি সময় দেয়া হয়েছে পোস্টার, তোরণ ও বিলবোর্ড সরাতে, তার পর থেকে কাজ শুরু করবে ম্যাজিস্ট্রেটরা।জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, কোনও ব্যক্তি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাকে সর্বোচ্চ ৬ মাসের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। রাজনৈতিক দল লঙ্ঘন করলে তাদেরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে।প্রসঙ্গত, এর আগে গত সোমবার (১২ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন।