গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রংপুর সুগার মিল লিমিটেডের সংরক্ষিত ইক্ষু খামার সাহেবগঞ্জ বাগদা ইক্ষু খামারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার দুপুরে ইক্ষু খামারে এই অগ্নিকান্ড ঘটে। এতে খামারের প্রায় ৫০ বিঘা জমির আখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুণঃঅগ্নিকান্ডের ঘটনায় ভারী হচ্ছে লোকসানের পাল্লা।
রংপুর সুগার মিলের সংরক্ষিত ইক্ষু খামার সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের ডান পার্শ্বে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ মতে, দাবানলের মত খন্ড-খন্ড আকারে এই আগুন খামারের বিশাল অংশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত আগুন যেকোন একপ্রাান্ত লেগে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। আগের অনেক অগ্নিকান্ডে এক জায়গায় লাগলেও এবারে খন্ড-খন্ড আগুন লাগায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ আব্দুল হামিদ জানান, বিচ্ছিন্ন জায়গায় আগুন লাগায় ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দীর্ঘ তিন ঘন্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত ২৩ ডিসেম্বর খামারের চারা বটগাছ এলাকায় আগুন লেগেছিলো। এতে খামারের প্রায় ৫০ বিঘার মত জমির আখ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। সেদিন একপ্রান্ত থেকে আগুন লেগে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিলো। কিন্ত রোববার দুপুরে লাগা আগুন ডানপার্শ্বের বিস্তীর্র্ণ অঞ্চল জুড়ে খন্ড-খন্ড আকারে জ্বলতে দেখা যায়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মন আগুন লাগার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
মিল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এই আগুনের সুত্রপাত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রংপুর চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, প্রশ্নই উঠে না। মিল কর্তৃপক্ষ কেন সরকারের এতো বিপুল পরিমান ক্ষতি করতে যাবে। বিভিন্ন জায়গায় খন্ড-খন্ড আগুন লাগার বিষয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় স্বার্থানেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আগুন লাগাচ্ছে বলে মিল কর্তৃপক্ষ মনে করে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর ইক্ষু খামারে আগুন লাগার বিষয়ে মিল কর্তৃপক্ষ জিডি করলেও তার অগ্রগতি সর্ম্পকে অবগত নয়।