মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পুরাপারা গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফুল। ওই গ্রামের বিদেশ ফেরত মোজাম্মেল হক দেশে ফুলের ব্যাপক চাহিদা দেখে প্রথমে ছোট পরিসরে ফুল চাষ শুরু করেন।
এরপর লাভবান হওয়ায় জারবেরা, গ্লাডিউলাস ফুলের চাষ শুরু করেন তিনি। ফুল চাষি মোজাম্মেল হক জানান, বিদেশ থেকে আসার পর ২০০৪ সাল থেকে শখের বসে প্রথমে গোলাপ ফুলের চাষ শুরু করেন। পরে বিদেশ থেকে গ্লাডিউলাস ফুলের চারা এনে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ শুরু করেন।
প্রতিদিন প্রায় তিন হাজারের মতো ফুল ঢাকার শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠান। প্রতিটি ফুল পাঁচ থেকে সাত টাকা দরে বিক্রি করেন। এই ফুল চাষ করে তার সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে আরও বেশি জমিতে তিনি ফুল চাষ করতে পারতেন।
মোজাম্মেলের দেখাদেখি আশপাশের গ্রামের আরও অনেকেই ফুল চাষ শুরু করেন। তাদেরই একজন ফুলচাষি আরিফুল হক। তিনি বলেন, এই ফুল চাষ বারো মাস চলে। এতে তিনি যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি এখানে কাজ করা শ্রমিকদের পারবারগুলোও ভালোভাবে চলছে। মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর আরটিভি অনলাইনকে জানান, আগামীতেও মুন্সীগঞ্জের চাষিরা ফুল চাষে আগ্রহী হবে। তাদেরকে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।