বিত্র শবে কদর, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকছে বেনাপোল বন্দর। তবে এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে আট দিন। আর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
এমনিতেই উভয় বন্দরে পণ্যজট লেগেই থাকে। এদিকে টানা ছুটির ফলে স্থবির হয়ে পড়ছে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে পড়বে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। লম্বা ছুটির কারণে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ এর কাঁচামালের সংকট দেখা দিতে পারে। সীমান্তের দুই পাশের ট্রাকজট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বন্দর-সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ৩১ মে ও ১ জুন সাপ্তাহিক ছুটি, ২ জুন শবে কদরের ছুটি, ৩ জুন একদিন অফিস খোলা থাকলেও তেমন কোনো কাজ হবে না। ৪, ৫ ও ৬ জুন ঈদের তিন দিনের ছুটি। ৭ ও ৮ জুন সাপ্তাহিক ছুটি। ৯ জুন সকাল থেকে পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে এ পথে। ১ জুন আমদানি-রপ্তানি কিছুটা হলেও দুপুরের পর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর মামুন কবীর তরফদার জানান, ৩০ মে দুপুরের পর থেকে অঘোষিত ছুটি পড়ে গেছে। ছুটির আগেই অনেক আমদানিকারক বিপুল পরিমাণ পণ্য খালাস করে নিয়ে গেছেন। ৯ জুন সকাল থেকে আবারও বন্দরের কার্যক্রম চালু হবে। ছুটিতে বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।