তামিম ইকবাল যদি ক্যাচটা নিতে পারতেন, তাহলে হয়তো ম্যাচের চিত্রটা ভিন্ন হতেও পারত! ভারতের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল আর রোহিত শর্মা ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই চেপে বসছিল মাশরাফি-মুস্তাফিজদের ওপর।
রোহিত তখনও দশ রানের কোটা পার করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় ক্যাচ তুলে দিলেও সেই ক্যাচ নিতে পারেননি তামিম ইকবাল! অতঃপর নিজের ইনিংস টেনে নিলেন ১০৪ রানে।
রাহুল-রোহিতের জুটি ভাঙ্গে ১৮০ রানে। দলের পার্ট-টাইম বোলার সৌম্য সরকারের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রোহিত। এরপর আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লোকেশকে ৭৭ রানে ফেরান চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা রুবেল হোসেন।
৩৩ ওভারের সময় ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। বিরাট কোহলি নামলেন আর উঠলেন ২৬ রান করে। তার ব্যাট আজ হাসেনি বাংলাদেশের বিপক্ষে। মুস্তাফিজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
একই ওভারে নেই হার্দিক পান্ডিয়াও! যার উপর নির্ভর করে ভারতের দ্রুত রান আর বড় সংগ্রহ। তাকে কি না শূন্য রানে ফেরালেন কাটার মাস্টার।
এক ওভারে দুই উইকেটে বাংলাদেশ দলে আবারও স্বস্তির হাওয়া। এর ভেতর রিষাব প্যান্ট হয়ে ছুটছিলেন বড় রানের লক্ষ্যে। নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে যখন প্রথম অর্ধশতক স্পর্শ করবেন ঠিক তখনই সাকিবের শিকার। ৪৮ রান করে প্যান্ট ফিরলেন সাজঘরে।
বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দীনেশ কার্তিক করেন মাত্র ৮ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষেই তার ব্যাট জ্বলে উঠে সব সময়। তার ব্যাটও আজ নিভিয়ে দেন মুস্তাফিজ।
শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৩৫ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৫ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
মুস্তাফিজ নেন ৫ উইকেট। এছাড়া সাকিব, মোসাদ্দেক আর সৌম্য নেন ১টি করে উইকেট।