উত্তরের ঐতিহ্যবাহী জেলা রংপুরের আকাশটা সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন। ঝিরঝির বৃষ্টি হচ্ছে। শহরের প্রতিটি মোড় ছেঁয়ে গেছে কালো পতাকায়। মাইকে চলছে ইসলামী সংগীত, কোরআন তেলোয়াত। সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রংপুরে। শহরের অলিতে গলিতে ঝুলছে শোকবার্তার ব্যানার। চায়ের দোকান থেকে ফেসবুক আলোচনায় শুধুই এরশাদের প্রয়াণ। শোকের মিছিলে উত্তরবঙ্গ জাতীয় পার্টির একদফা দাবি, যে কোনোভাবেই হোক রংপুরেই হবে এরশাদের শেষ ঠিকানা।
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, আমরা আশা করবো কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই এরশাদকে রংপুরে দাফন করতে পারবো। রংপুরের মানুষ এরশাদের পক্ষে সবসময় যেভাবে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার শেষযাত্রায়ও পরাজিত হবে না।
এজন্য পল্লীনিবাসের লিচুবাগানে কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছে গতকালই। প্রিয়নেতা এরশাদকে শেষবারের মতো দেখার জন্য অপেক্ষায় আছেন রংপুরের নেতাকর্মী ও স্বজনরা। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রংপুরের বিভিন্নস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রংপুরে এরশাদের জানাজা হবে বাদ জোহর। লাশ এখনো রংপুরে পৌঁছেনি। সকাল থেকেই নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা ভীড় জমিয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। নগরের সেন্ট্রাল রোডের জাতীয় পার্টি অফিসে চলছে নেতাকে শেষ বিদায়ের প্রস্তুতি। রংপুর জেলা ছাত্র সমাজের আহবায়ক আশরাফুল হক জবা বলেন, আমাদের নেতাকে শেষ সম্মান জানাতে আমরা প্রস্তুত। তার লাশ রংপুরে দাফনের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো, এটাই আমাদের একদফা দাবি।
এদিকে জানাজার স্থান রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত। টানানো হয়েছে সামিয়ানা। এই ঈদগাহ মাঠেই ঈদের নামাজ আদায় করতেন এরশাদ। এখানেই হবে তার জানাজা ও রংপুরবাসীর শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন।