বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল বড় চমক দেখিয়েছে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব। ধুকতে থাকা সাদা কালো শিবির কাল মাটিতে নামিয়ে এনেছে চিরপ্রতিদ্বন্ধী ঢাকা আবাহনীকে। ধার ভারে পিছিয়ে থেকেও মোহামেডান ম্যাচটি জিতেছে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। এ হারে শিরোপা রেস থেকে এক প্রকার ছিটকে যাওয়া আবাহনীর সঙ্গে বসুন্ধরা কিংসের পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাড়ালো ৭। ২১ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ৫১, ২০ ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের পয়েন্ট ৫৮ পয়েন্ট।
মোহামেডানের বড় জয়ের দিনেই ১৯ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মিডফিল্ডার এনামুল হক শরীফ। জাতীয় দলের হয়ে ২০০৬-’১৬ সাল পর্যন্ত তিন দফা জাতীয় দলে খেলেছিলেন। ঢাকার মাঠে প্রথম অনুষ্ঠিত কোটি টাকার সুপার কাপে জয়ী মোহামেডানের সদস্য ছিলেন তিনি।
ক্যারিয়ারে মোহামেডান ছাড়াও শেখ জামাল, শেখ রাসেল ও ভিক্টোরিয়াতে খেলেছেন। তবে ইনজুরি তাকে অনেক ভুগিয়েছে। বিদায় বেলায় শরীফ বলেন, ‘২০১১ থেকে ’১৩ পর্যন্ত ইনজুরিতে ভুগেছি। ওই সময়ে ইনজুরিতে না পড়লে হয়তো মোহামেডানের মত ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের অধিনায়ক পদেও থাকতে পারতাম। তারপরও ফুটবল আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। অনেক খ্যাতি আর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি।’ অবসরের জন্য ঢাকা আবাহনীকে বেছে নিয়ে তিনি যে ভুল করেননি তা বুঝিয়ে দিয়েছেন সতীর্থরা। চির প্রতিদ্বন্দ্বির বিপক্ষে জয় দিয়েই এনামুলের বিদায় দিয়েছেন তখলিস, এমিলিরা। মোহামেডানের চমকের রাতে তকলিস দুটি এমিলি ও সুলেমান দিয়াবাত একটি করে গোল করেন। এ জয়ে ২০ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরেই পরে রইলো ঢাকা মোহামেডান।