গত কয়েক বছর ধরে দেশে পালিত পশুতেই কুরবানির চাহিদা পূরণ করতে চেষ্টা করছে সরকার। সে লক্ষ্যে এ বছর কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় এক কোটি ১৮ লাখ পশু। যা গত বছরের চাহিদার তুলনায় ১৩ লাখের বেশি বলে জানিয়েছে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর। ফলে দেশী পশু দিয়েই কুরবানির চাহিদা পূরণ সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পশু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করে মাংস উৎপাদনে অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। তাইতো বিদেশি পশু আমদানি নির্ভর না হয়ে দেশীয় পশু দিয়েই কুরবানির চাহিদা পূরণ করতে কাজ করছে সরকার।
দেশের মানুষের কুরবানির পশুর চাহিদা পূরণে ২০১৩ সালে বৈধপথে বিদেশ থেকে ২৩ লাখ পশু আমদানি করা হলেও ২০১৯ সালে তা ঠেকেছে মাত্র ৯২ হাজারে। এতে করে বিদেশি পশু আমদানির হার কমেছে বলে জানান প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
এ বছর খামারে মজুদ রয়েছে ২৮ লাখ ৮৫ হাজার এক শত ৪২টি গরু-মহিষ। আর কৃষকদের পালিত গরু-মহিষ রয়েছে ১৬ লাখ ৯৬ হাজার আট শত ৫৮টি। এছাড়াও খামারে পালিত ছাগল ও ভেড়া মজুদ রয়েছে ২০ লাখ ৯ হাজার সাত শত ১০টি। আর কৃষকদের পালিত হয়েছে ৫১ লাখ ৯০ হাজার দুই শত ৯০টি।
এ বছর পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু মজুদ থাকায় অবৈধপথে পশু আনা বন্ধের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও সুষ্ঠুভাবে হাট ব্যবস্থাপনারও দাবি জানিয়েছেন তারা।