নব্বই দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের সাড়া জাগানো নায়িকা শাবনূর। ঢালিউডে অসংখ্য হিট ছবি উপহার দেয়া এই নায়িকা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন। অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে প্রবাস জীবন উপভোগ করছেন তিনি। শাবনূর মুঠোফোনে বলেন, ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনটাকে বেশ উপভোগ করছি আমি। আমার কোনো দুঃখ নেই। কোনো আফসোস নেই। খুব ভালো আছি আমি। অনেক চিন্তা থেকে দূরে আছি। এখানে থাকলে কাজের লোক বা ড্রাইভারকে নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এখানে সকাল(শুক্রবার) থেকে বেশ বৃষ্টি হচ্ছে। গত রাতে ভাই-বোন, মাসহ একসঙ্গে চড়ুইভাতি করেছিলাম। সকলে আড্ডা দিয়ে ভালো সময় কেটেছে। আমার ছেলে আইজানও বেশ উপভোগ করেছে। সবশেষ বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে শাবনূর সিনেমা হলে গিয়েও ছবি দেখেছেন। বাংলা সিনেমার খোঁজ খবর নিয়েছেন। সিডনিতে থাকাকালীন কি বাংলা সিনেমা দেখা হয়? জবাবে ঢালিউডের জনপ্রিয় এই নায়িকা বলেন, বাংলাদেশের সিনেমা সবসময় দেখার চেষ্টা করি। এদেশের সিনেমার জন্যই আজ আমি শাবনূর। সবার কাছে পরিচিত। সবার ভালোবাসা পেয়েছি। মাঝে তো অস্ট্রেলিয়ায় জয়া আহসানের ‘দেবী’ ও ববির অভিনীত ‘বিজলী’ ছবি আমি দেখেছি। সিনেপ্লেক্সে দেখলাম খুব উপভোগ করছে দর্শক। আমার মনে হয়, ভালো মানের ছবিগুলো বিশ্ব্বব্যাপী ভালো ভাবে মুক্তি দেয়া উচিত। অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে খুব শিগগিরই ফিরবেন বলে জানালেন শাবনূর। তিনি বলেন, গরম একেবারেই পছন্দ না আমার। তাই শীতের শুরুতে বাংলাদেশে আসবো। আইজানের স্কুল চলছে। তখন বন্ধও থাকবে। বাংলাদেশে গেলে অস্ট্রেলিয়ায় আর আসতে ইচ্ছে করে না। আবার অস্ট্রেলিয়ার বিশুদ্ধ খাবার, পরিবেশ দেখে বাংলাদেশে তখন যেতে ইচ্ছে করে না। কি একটা অবস্থা আমার। তবে খুব শিগগিরই বাংলাদেশে যাব। শাবনূর হাসতে হাসতে বলেন, আমি একটু আরামপ্রিয় মানুষ। তবে বাংলাদেশে এবার গিয়ে কিছু কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। সবশেষ মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘এত প্রেম এত মায়া’ ছবিতে একটি গানও করেছিলাম। এ ছবির কিছু কাজ বাকি আছে। সেটা ঠিকভাবে করতে চাই। অভিনয়ের বাইরে রাজধানীর বারিধারা এলাকায় অবস্থিত ‘সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’র দু’জন কর্ণধারের একজন শাবনূর। আরেকজন তারই ছোট বোন ঝুমুর। শাবনূর আরো বলেন, ৫ বছর পার হয়েছে আইজানের। দেখতে দেখতে সময় চলে যায়। ভাবতেই অবাক লাগে। আইজানের দুষ্টুমি দেখেও আমার সময় চলে যায়। আমাকে দেখে রাখতে হয় ওকে। মাঝে মাঝে তো ছেলেকে নিয়ে আমি একা ঘুরতে বেড়িয়ে পড়ি। তবে বাংলাদেশকে ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে খুব মিস করি। কারণ এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। এখনো সকলের ভালোবাসা ও সম্মান পাই আমি। শুনলাম ঢাকায় ‘সালমান শাহ জন্মোৎসব’ শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানাতে চাই।