বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের দলবদল শুরু হয়েছে গতকাল। তবে দলবদলে অংশ নেয়া নিয়ে অনিশ্চতার মধ্যে রয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। মোহামেডান-মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িত আরামবাগ ক্রীড়া সংঘও আছে সংকটে।
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনো পাওয়া যায় ঢাকার বেশ কয়েকটি ক্লাবে। এর মধ্যে প্রিমিয়ার লীগের তিন দল ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় এসব ক্যাসিনোতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবৈধ ক্যাসিনো উচ্ছেদের পর তিনটি ক্লাবই এখন সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসের ভূঁইয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক আর আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি একেএম মমিনুল হক সাঈদ দেশের বাইরে। এ অবস্থায় ফুটবলের দলবদলে দুই ক্লাবের অংশ নেয়া অনিশ্চিতই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। ক্লাবের সাবেক পরিচালক ফজলুর রহমান বালুল বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না মোহামেডানের ভাগ্যে এখন কী আছে।’ কীভাবে ক্লাবটি দল বদলে অংশ নেবে তাও জানাতে পারছেন না সাবেক এই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আসন্ন দলবদলের করণীয় কী জানতেই দু’দিন আগে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে দায়িত্ব পাওয়া আমিন উদ্দিন সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
কিন্তু রায়ের কপি হাতে না পাওয়ায় তিনি আমাদের কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারেননি। আমরা জানি না রায়ের কপিতে কী আছে। আগের কমিটি বহাল আছে কি না সেটাও জানি না। তারপরেও আমরা ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। সেও আমাদের দল বদলের ব্যাপারে ভালো কিছু শোনাতে পারেনি। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি। ক্লাবটির আরেক সাবেক পরিচালক বাদল রায় বলেন, ‘যে করেই হোক মোহামেডান দলবদলে অংশ নেবে।’ এদিকে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কোচ মারুফুল হক বলেছেন, ‘দলবদলের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। এখনো আমাদের হাতে দেড় মাস সময় আছে। এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।’ যদিও শোনা যাচ্ছে দলবদলের কাজটি আগেই সেরে রেখেছেন ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত ক্লাবটির সভাপতি মুমিনুল হক সাঈদ। এরইমধ্যে নাকি ক্লাবটির বেশিরভাগ খেলোয়োড়ের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গেছে। এখন বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ২২ জনকে টোকেন মানির চেক দিয়েছিলাম। এর মধ্যে ৪/৫ জনের চেক ফেরত এসেছে। মুক্তিযোদ্ধার ভবিষ্যত কী আমি জানি না। শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।’ ফুটবলের দলবদল চলবে ২০শে নভেম্বর পর্যন্ত। এক মাস ২০ দিনের এ দলবদল প্রক্রিয়ায় এই তিন ক্লাব কী করবে সেটা দেখতে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এবার স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড়দের দলবদল এক সঙ্গে শুরু হয়ে এক সঙ্গেই শেষ হবে।