শেখ সাদীঃ ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে কুষ্টিয়ায় অস্বাভাবিক হারে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এখন পদ্মার নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে কুমারখালীর শিলাইদহের কোমরকান্দি গ্রামের ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
ফসলহানি, বসতবাড়ী, স্কুলসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে, এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী রক্ষা বাঁধ।
অপরদিকে ভারত সীমান্তবর্তী দৌলতপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের বন্যা কবলিত ৫০ গ্রামে পানি আরো বেড়েছে। প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিজ বাড়িতে পানিবন্দী অবস্থায় চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
পানি ঢুকে পড়ায় ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। মাসকলায়সহ প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির অর্থকরি বিভিন্ন ফসল পানিতে তুলিয়ে গেছে। মাত্র ১৫শ’ পরিবারের জন্য শুকনা খাবার ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। মানবেতর জীবন যাপন করছে এইসব এলাকার বানভাসী মানুষ।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পিযুষ কুন্ড জানান, ফারাক্কার বিরূপ প্রভাব আর উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলে গত দুই দিন পদ্মায় অস্বাভাবিকহারে পানি বেড়েই চলেছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টের পানির সমতল ছিল ১৪.৩০। যা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বশেষ পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদীতেও অব্যহতভাবে পানি বাড়ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে তা চলমান থাকলে চরম ক্ষতির আশংকা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।