বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুর কারণ বলতে গিয়ে নৃশংস নির্যাতনের বর্ণনা ওঠে এসেছে চিকিৎসকের জবানিতে। আজ দুপুরে আবরারের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের এ বর্ণনা দেন। বলেন, আবরার ফাহাদের রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় মারা গিয়েছেন।
সোহেল মাহমুদ বলেন, ময়নাতদন্তের পর আমরা তার সমস্ত শরীরে মারধর ও আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। মারের আঘাতের জন্যে সে মারা গিয়েছে। আঘাতগুলো দেখে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তাকে ভোঁতা কোনো কিছু দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে। এটি বাঁশও হতে পারে বা ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্পও হতে পারে। তার শরীরের হাতে, পায়ে এবং পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে পরিমাণ আঘাতের চিহ্ন তার শরীরে পেয়েছি এক্সটেনসিভ ব্রুইস ছিলো।
আমাদের ধারণা, সেই এক্সটেনসিভ ব্রুইসের জন্যে সে মারা গেছে। তার হাতে, পায়ে এবং পিঠে ব্লান্ট ফোর্স ইনজুরি ছিলো। এর জন্যে তার শরীরে রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় সে মারা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলের ছাত্র আবরার ফাহাদের (২১) লাশ আজ ভোরে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে পিটিয়ে হত্যার আলামত পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে রোববার রাতে তাকে ছাত্রলীগ নেতারা একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর করে। একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ওই কক্ষে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চলে।